কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, চোপড়া: উত্তর দিনাজপুরের ( North Dinajpur ) চোপড়ায় ( Chopra ) ড্রেন সম্প্রসারণের কাজ দেখতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে ৪ শিশুর মৃত্য়ুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। কীভাবে বিএসএফ ৪টে বাচ্চার উপর মাটি চাপা দিয়ে তাদের মেরে ফেলল ? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।  


'এই জায়গাটাও কিন্তু দেখে আসতে হবে মাননীয় রাজ্য়পালকে, কীভাবে বিএসএফ ৪টে বাচ্চার উপর মাটি চাপা দিয়ে তাদের মেরে ফেলল' এই দাবিতে সরব রাজ্যের শাসক শিবির। 


উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় মাটি চাপা পড়ে চার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় BSF-কে কাঠগড়ায় তুলে আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেস। সকাল ১০টা থেকে চোপড়ায় নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে শাসকদলের। এই ইস্যুতে মন্ত্রী, বিধায়ক-সাংসদদের ১২ জনের দলগড়া হয়েছে। রাজ্যপালের কাছে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছে তৃণমূলের এই প্রতিনিধিদল। দলে রয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু, উদয়ন গুহ, বীরবাহা হাঁসদা, কুণাল ঘোষ, গৌতম দেব, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল ও জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। 


গতকাল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোপড়ার চেতনাগছ গ্রামে নর্দমা সম্প্রসারণের কাজ দেখতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে ওই চার শিশুর মৃত্যু হয়।চোপড়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চেতনাগছ গ্রামে একটি সরু ড্রেন চওড়া করার কাজ চলছিল। সোমবার সেই কাজ দেখতে গিয়েছিল গ্রামের বেশ কয়েক জন শিশু। আচমকা ধস নেমে মাটির তলায় চাপা পড়ে ৪ শিশু। স্থানীয় মানুষ ও বিএসএফ জওয়ানরা তড়িঘড়ি চোপড়ার দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 


দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে এলাকায় ব্য়াপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রাজ্য় পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে সীমান্ত এলাকায় ড্রেন সম্প্রসারণের কাজ করছে বিএসএফ। যদিও বিএসএফের পাল্টা দাবি তারা এই কাজ করছে না। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই সরব হয়েছে তৃণমূল। সোমবারই সন্দেশখালিতে গেছিলেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস। এবার তাঁকে চোপড়াতেও যেতে হবে বলে দাবি করেছে শাসক দল। 


রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ও বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, 'মাননীয় রাজ্য়পাল আজকে তিনি গিয়েছিলেন সন্দেশখালি। অসুবিধা নেই। তিনি সাংবিধানিক প্রধান এই রাজ্য়ের। তিনি ইচ্ছা করলে যেখানেই যেতে পারেন। উত্তর দিনাজপুরের চেতনাগছ এই জায়গাটাও কিন্তু দেখে আসতে হবে মাননীয় রাজ্য়পালকে, কীভাবে বিএসএফ ৪টে বাচ্চার উপর মাটি চাপা দিয়ে তাদের মেরে ফেলল। এ ঘটনাটারও তদন্তের জন্য় মাননীয় রাজ্য়পালের যাওয়া উচিত।'  


চোপড়ার ঘটনাকে ইস্য়ু করে তৃণমূল ময়দানে নামায় চড়েছে রাজনীতির পারদ। 


আরও পড়ুন :


জামিন..গ্রেফতার...জামিন...গ্রেফতার...সন্দেশখালিকাণ্ডে এক সন্ধেয় বিরাট পরিবর্তন!