কলকাতা: আদালতের নির্দেশে কাঁকুড়গাছির মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ সত্কার ঘিরে এনআরএস হাসপাতালের মর্গে উত্তেজনা। হোমগার্ডকে চড় মারলেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি! 



আদালতের নির্দেশে কাঁকুড়গাছির মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ সত্কার ঘিরে এনআরএস (NRS)হাসপাতালের মর্গে আজ সকাল থেকেই উত্তেজনা চরমে। হোমগার্ডকে চড় মারলেন বিজেপি ( BJP) নেতা দেবদত্ত মাজি। এদিন মর্গ থেকে বিজেপি কর্মীর দেহ বের করার সময় এনওসি নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।


আরও পড়ুন : বনগাঁয় দলত্যাগী বিজেপি নেত্রীকে কটূক্তি, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নেত্রী



দেহ লোপাটের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তোলে মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার। শেষপর্যন্ত থানার তরফে এনওসি দেওয়া হলে বিজেপি কর্মীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতালে বিজেপি নেতার হোমগার্ডকে চড় মারা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।  প্রথমে চড় মারেননি বলে দাবি করেন দেবদত্ত। তারপর অবশ্য এবিপি আনন্দর ক্যামেরার সম্মুখীন হয়েই তিনি বলেন, পরিস্থিতি খারাপ ছিল। তিনি দাবি করেন, ৮-৯ বছর আগেও আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিজিত ও তাঁর দাদা। তখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ফিরে আসেন দুই ভাই। এবার আর প্রাণরক্ষা হয়নি অভিজিতের। এনআরএসে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন দেবদত্ত। দাবি নেতার। 

 অন্যদিকে দেবদত্ত মাজির চড়কাণ্ডে সায় দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি। ' সরকারের গালে থাপ্পড় মারা উচিত, হোমগার্ডকে মেরে ঠিক করেছে', মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। তিনি প্রশ্ন তোলেন, একজন হোমগার্ডের এত ক্ষমতা হয় কীভাবে ? নিম্নরুচির পরিচয় দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, বলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।


এদিন এনআরএস হাসপাতালের মর্গ থেকে প্রথমে মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ। সেখানে দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। কাঁকুড়গাছির বাড়ি ঘুরে এরপর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। গত ২ মে, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। 


আরও পড়ুন :


ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত সিপিএম, সিটু নেতার বাড়ি ও শ্রমিক সংগঠনের অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ