সন্দীপ সরকার, কলকাতা: মাত্র একজন ডাক্তার রয়েছেন। তাই সকলকে অধৈর্য না হওয়ার অনুরোধ করে দেওয়া হয়েছে পোস্টার। যিনি এই পোস্টার সাঁটিয়েছেন, তিনি এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের (NRS Medical College) গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট (Gastroenterologist) মানস মণ্ডল। পোস্টার দিয়েই আউটডোরে চিকিৎসা করছেন তিনি। আর চেম্বারের বাইরে রোগীদের ভিড়।


এর আগে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ইউনিটে দু’জন চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু, গত সপ্তাহেই এখানকার একজন চিকিৎসক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Medical College Kolkata) বদলি হয়ে গিয়েছেন। ফলে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি বিভাগ এখন চলছে একজন চিকিৎসক নিয়েই। প্রতি বুধবার গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ইউনিটের আউটডোর চলে এখানে। এদিনও আউটডোর খুলতেই লাইন লেগে যায় রোগীদের। চিকিৎসা করাতে সাতসকালেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাজির হন অসংখ্য রোগী। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তবে মিলছে ডাক্তার দেখানোর সুযোগ। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনরা।


এই সমস্যা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে হোয়াটসঅ্যাপ করা হলেও, মেসেজের কোনও জবাব দেননি তিনি।


আরও পড়ুন বাঁচল শিশুর প্রাণ, জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য এনআরএস হাসপাতালে


অন্যদিকে, রেফার-রোগের অভিযোগ রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটছে স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতরের সিদ্ধান্ত, প্রথমে যে হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানেই তাঁর চিকিৎসা সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখবেন অন্তত ২ জন চিকিৎসক। এরপর আলোচনা করে তাঁরা ঠিক করবেন রোগীকে রেফার করা হবে কি না। যদি রেফার করতেই হয়, তাহলে তার আগে রোগীকে স্থিতিশীল করার মতো চিকিৎসা পরিষেবা দিতেই হবে। একই সঙ্গে যে হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে, সেখানে বেড নিশ্চিত করার ব্যবস্থাও করে দিতে হবে।


এছাড়া ঠিক হয়েছে, চিকিৎসকদের ডিউটি রস্টার অনলাইনে তৈরি করে, তা হাসপাতালের আউটডোর, এমার্জেন্সি এবং নোটিস বোর্ডে টাঙাতে হবে। সব স্তরের হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকঠাক দেওয়া হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখবে জেলা এবং রাজ্যস্তরের নজরদারি দল।