পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে রাজ্যের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতাল কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। আরজি কর কাণ্ডের উপযুক্ত বিচার সহ চিকিৎসকদের উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁদের সমর্থনে দলমত নির্বিশেষে পথে নেমেছেন বিশিষ্টজনরাও। এই পরিস্থিতির কারণে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাওয়া রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা রোগীরাও পড়েছে প্রচণ্ড সমস্যার মধ্যে। সোমবার সেই দৃশ্যই চোখে পড়ল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Bankura Medical college and Hospital)।
সোমবার ওই হাসপাতালে আশঙ্কাজনক একজন বৃদ্ধ রোগীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসে চিকিৎসা না করিয়েই ফিরে যেতে হল তাঁর পরিবারকে। যার জেরে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তারা। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে যদি কোনও রোগীর মৃত্যু হয় তাহলে তার দায় কে নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ছয় মাস ধরে জ্বর ও শরীরে যন্ত্রণা নিয়ে ভুগছেন ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ। রবিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে চিকিৎসা করানোর পর তাঁকে রেফার করা হয় বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেই মতো সোমবার সকালে তাঁর পরিবারের লোকজন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের বাগডোগরা গ্রাম থেকে একটি গাড়ি করে ওই রোগীকে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করতে এসে দেখেন সেখানে কোনও চিকিৎসক নেই।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ,হাসপাতাল এমার্জেন্সি পরিষেবায় নেই কোনও চিকিৎসক। তাদের বলা হয়, এখানে রোগীকে ভর্তি করলে নিজেদের দায়িত্বে ভর্তি করুন। তাই তাঁরা কোনও ঝুঁকি না নিয়ে রোগীকে নিয়ে ফিরে যায় বাড়ি। এপ্রসঙ্গে জানান, বাড়িতে গিয়ে আলোচনা করে কোনও একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হবে। প্রয়োজনে নিজেদের জমি ও গয়না বিক্রি করে চিকিৎসা চালাতে হবে ওই রোগীর।
এদিকে, চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এমার্জেন্সি বিভাগেও চিকিৎসা যে কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে তা মেনে নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda