প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ED-র অভিযানের দিনই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়িতে বিজয়া করতে হাজির তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। হাতে ছিল মিষ্টির প্যাকেট। বেলা ১২টা ২৫-এ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ২৪৪ নম্বর বাড়িতে যান সব্য়সাচী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান জানান, তিনি মন্ত্রীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন। CRPF জানায়, ভিতরে যাওয়ার অনুমতি নেই। মিনিট দশেক থেকে ফিরে যান সব্যসাচী দত্ত। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কি রাজনীতির শিকার? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে কৌশলী সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। তৃণমূল নেতার দাবি, ED-র অভিযানের না জেনেই চলে এসেছেন। তবে আইন আইনের পথে চলবে।       


১২টা বেজে ২৫ নাগাদ সব্যসাচী দত্ত এসে পৌঁছেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে। সেখানে দরজা বন্ধ ছিল। পাহারায় ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) জওয়ানরা। তাঁরা ঢুকতে বাধা দেন সব্যসাচী দত্তকে। সেই সময় বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান জানান,  তিনি শুধুমাত্র মিষ্টির প্যাকেট দিতে চান। সিআরপিএফ জওয়ানরা তখন বলেন, 'আপনি যাকে মিষ্টির প্যাকেট দিতে এসেছেন, যাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, তিনিই বারণ করে দিয়েছেন।' সেই কথা শুনে শেষ পর্যন্ত মিষ্টির প্যাকেট না দিয়েই বেরিয়ে যান সব্য়সাচী দত্ত। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি তল্লাশি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয় সব্যসাচী দত্তকে। তার উত্তরে তিনি বলেন, 'কী হচ্ছে না হচ্ছে, তার জন্য আইন-আদালত আছে। আইনের পথেই দেখব আমরা।'                  


বিধাননগর পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর ছিলেন, তৃণমূল নেতারাও ছিলেন। তাঁরা জানান, তাঁরা বিজয়া করতে এসেছিলেন। তাঁদের কাছে কোনও খবরই ছিল না যে ইডি তল্লাশি হচ্ছে। না ঢুকতে পেরে বিরক্তি প্রকাশ করতেও দেখা যায় তাঁদের। বিজয়া সকরতে গেলে অনুমতি লাগে নাকি, এমন প্রশ্নও করেন তাঁরা। কথা কাটাকাটিও হয়। এক কাউন্সিলর বলেন, 'বিজয়া করতে এসেছি। আমাদের ঢুকতে দিচ্ছে না। তার জন্য তো পেপার্স দেখাতে হবে।' কিছুক্ষণ পরে তাঁদের সরিয়ে দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।     


ভুবনেশ্বর ইডি অফিস থেকে ৩টে দল পুরীতে পাঠানো হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর যে আপ্ত সহায়ক ছিলেন, সেই অমিত দের খোঁজে পুরীতে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। 


আরও পড়ুন: SSKM-এর মর্গ থেকে লোপাট দেহ! পরিবারের নিশানায় পুলিশ