তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসে কলেজের গেটে পতাকা তুললেন অধ্যক্ষা। বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর (Bishnupur) রামানন্দ কলেজের সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করলেন স্বয়ং বিধায়ক। অধ্যক্ষার সমালোচনায় সরব বিজেপি (BJP)। অনুচিত কাজ, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের (TMC)।


শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের পতাকা তুললেন অধ্যক্ষা: রবিবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (tmcp) প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান। কলেজ গেটের সামনে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের পতাকা তুললেন খোদ অধ্যক্ষা। পরে কলেজের একটি ঘরে শুরু হয় কেক কাটা। কেক কেটে বিধায়ককে খাইয়েও দিলেন অধ্যক্ষা। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিধায়ক।


অধ্যক্ষার সাফাই: বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজের অধ্যক্ষা স্বপ্না ঘোড়ুই-এর কথায়, রবিবার কলেজ ছুটি ছিল। অনুষ্ঠান হয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে, কলেজের বাইরে আমার আলাদা সত্ত্বা থাকতেই পারে। খাওয়াখাওয়ি ছেলেরা বলল কলেজের একটা রুমে করবে। কেক কাটতে বলেছে কেটেছি।


বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাসের কথায়, এটা দলতন্ত্রের উদাহরণ। যার কাছে প্রিন্সিপ্যালও নতজানু হয়েছেন, এটা শিক্ষার অবক্ষয়। জাতীয় পতাকা তোলার কথা। দলতন্ত্রের কাছে নিজেকে বিক্রি করেছেন। 


বিষ্ণুপুর শহরের  তৃণমূল কংগ্রেস শহর সভাপতি সুনীল দাসের কথায়, ঘটনাটা জানি না। ছাত্র সংগঠনের পতাকা অধ্যক্ষার তোলা অনুচিত। এমন হলে দল ব্যবস্থা নেবে।


অনব্রত মণ্ডলের খাসতালুকেই সম্পত্তির খতিয়ান দিয়ে দুই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। তুলে ধরা হয়েছে দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ও অঞ্চল সভাপতির জমি-বাড়ির হিসেব। পোস্টার পড়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিসেও। বিভাগীয় তদন্ত হবে। আশ্বাস তৃণমূল নেতৃত্বের। 


বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের কথায়, যে কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তির নিজস্ব সত্ত্বা আছে। মমতা অভিষেককে অনেকে পছন্দ করেন, হয়তো আবেগের বশে কলেজের কাজে এসে এ ধরনের ঘটনা ঘটেও থাকতে পারে। 


বীরভূমে বিতর্ক: গরুপাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) জেলে থাকাকালীনই এবার বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে তৃণমূল নেতাদের (TMC Leader) বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য। যশপুরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি শেখ কাঞ্চন ও দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা পরিমল সৌয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকা ও নিজেদের সম্পত্তি বাড়ানোর অভিযোগ তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) উদ্দেশ্য করে লাগানো হয়েছে পোস্টার। পোস্টারে দুই তৃণমূল নেতার সম্পত্তির খতিয়ান লেখা রয়েছে। অঞ্চল সভাপতিকে পাওয়া না গেলেও, দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে নিজেদের পকেট ভরছেন তৃণমূল নেতারা, কটাক্ষ বিজেপির। ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।