অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: প্রিন্সেপ ঘাট (Princep Ghat) নিয়ে গতকাল ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। পরে, এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশ ও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও (Firhad Hakim)। এরপরই গতকাল তৎপর হল পুরসভা। ঠিক করা হল খারাপ আলো, রাস্তার পেভার ব্লক। 


মমতার ধমক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  (Mamata Banerjee) বলেন, প্রিন্সেপ ঘাটে (Princep Ghat) পৌষ মেলা হয়। তাড়াতাড়ি ওই জায়গাটাকে পরিষ্কার করতে হবে। কেন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ থাকবে না, আমাকে বলতে হবে কেন? আমি চাই গঙ্গা আরতির একটা জায়গা আমাদের হোক।


মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্ষোভপ্রকাশের পর প্রিন্সেপ ঘাট পরিদর্শন করেন মেয়র ও KMDA’র চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। পুলিশ ও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনিও। আর, এরপরই সক্রিয় হল কলকাতা পুরসভা। ঙ্গলবার সকালে, প্রিন্সেপ ঘাট থেকে জাজেস ঘাট পর্যন্ত গঙ্গার পার ধরে রাস্তা ও আশপাশের অবস্থা খতিয়ে দেখেন মেয়র পারিষদ আলো সন্দীপরঞ্জন বক্সি ও পুরসভার আধিকারিকরা।  


মুখমন্ত্রীর ধমকের পরেই তৎপর: যেখানে যেখানে আলো খারাপ হয়েছে, সেগুলি বদলানো হয়। ঠিক করা হয় উঠে যাওয়ার রাস্তার পেভার ব্লক। পরিষ্কার করা হয় জঞ্জাল। সতর্ক করা হয় হকারদের। ভেঙে যাওয়া গাছের বেদি ঠিক করার পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুরসভা।বিকেলের দিকে বাবুঘাটে যান মেয়র পারিষদ তারক সিংহ ও দেবাশিস কুমার। এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা। এখানে গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়।


বারাণসীর ধাঁচে কলকাতায় গঙ্গা আরতি চান মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গার ঘাটের অবস্থা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এরপরই তত্পর হল কলকাতা পুরসভা। সকাল থেকে গঙ্গার ঘাটে কাজ শুরু করেন পুর কর্মীরা। আলো লাগানো থেকে শুরু করে জঞ্জাল পরিষ্কারের পাশাপাশি, ফুটপাতের পেভার ব্লক মেরামত করা হয়। যে সমস্ত জায়গায় গাছের গোড়ায় বাঁধানো অংশে ফাটল ধরেছে, সেগুলিও মেরামত করারও কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত প্লাস্টিকের ছাউনি খুলে ফেলতে বলা হয়েছে হকারদের। কাজ চলাকালীন এদিন গঙ্গার ঘাট পরিদর্শনে যান মেয়র পারিষদ আলো সন্দীপরঞ্জন বক্সী ও পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের ডিজি ও পুর আধিকারিকরা। 


সূত্রের দাবি, নিমতলা ঘাটে আগে থেকেই আরতি হয়। সেখানে, অথবা সর্বমঙ্গলা ঘাটে আরতির ব্যবস্থা করা যায় কি না, এই বিষয়টা খতিয়ে দেখার জন্য ফিরহাদ হাকিমের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন অতীন ঘোষ। কোথায় আরতির ব্যবস্থা করা যায়, পুরসভা তা খতিয়ে দেখছে। জায়গা ঠিক করার পর, তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে সূত্রের দাবি।