মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ১০ দিনের মাথায় অন্ডালে শিশু খুনের কিনারা করল পুলিশ। এক মহিলা-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে প্রতিবেশী পরিবারের ৪ সদস্যকে। পুলিশের দাবি, মজা করে প্রতিবেশী মহিলাকে বিশেষ নামে ডাকতেন সবাই। তাতে সামিল হয় ছোট্ট সৌরভ। অভিযোগ, সেই রাগে মহিলা পাথর ছুড়ে মারলে মৃত্যু হয় শিশুর। 


মজার ছলে প্রতিবেশী মহিলাকে বিশেষ নামে ডাকা হত। বড়দের মুখে শোনা সেই নাম শিখেছিল ৭ বছরের ছোট্ট ছেলে। সেই নাম ধরে মহিলাকে ডাকার মাসুল গুণতে হল জীবন দিয়ে। পাথর ছুড়ে মারার পর শিশুর মৃত্যু হলে প্রমাণ লোপাটের হাজারো চেষ্টা করা হয় কিন্তু হল না শেষরক্ষা ১০ দিনের মাথায় অন্ডালে শিশু খুনের কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল মহিলা-সহ প্রতিবেশী পরিবারের ৪ সদস্যকে। পুলিশের দাবি, জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। 


গত ৬ জুলাই প্রতিবেশী বন্ধুর বাড়িতে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ৭ বছরের সৌরভ বাউড়ি। পুলিশ সূত্রে দাবি, মৃতের বন্ধুকে ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সে জানায়, বড়রা যে নামে যাকে, সেই নামে ডাকায় সৌরভকে পাথর ছুড়ে মারে তার মাসি যশোদা বাউরি। এরপরই মহিলার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন পরিবারের সদস্যরা। জানা যায়, সৌরভের মৃত্যু হওয়ার পর বস্তাবন্দি করে রান্নাঘরে লুকিয়ে রাখা হয়।


২দিন পর, জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসে মৃতদেহ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বস্তা। এর মধ্যে, সন্দেহ এড়াতে খোঁজাখুঁজিতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সামিল হয় অভিযুক্তরাও। ৪ দিন পর, ১০ জুলাই প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়া সৌরভের ক্ষত বিক্ষত অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।


পুলিশের দাবি, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে বিক্ষোভে সামিল হয় অভিযুক্তরাও। 
অবুঝ শিশুর সামান্য ভুল! তার জন্য এত বড় শাস্তি? দোষীদের কড়া শাস্তি চাইছেন এলাকাবাসী।