Fake Passport: পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দত্তপুকুরের বাড়ি থেকে ভোররাতে পাকড়াও করা হয় অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ব্যক্তির প্যান কার্ড, এটিএম কার্ড। এই নিয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ৬। শুধু পাসপোর্ট নয় ঘটনার ব্যাপ্তি অনেক বড়। এই কেস NIA এবং ED-র নিয়ে নেওয়া উচিত, মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা। জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বারাসাতের বাসিন্দা সমরেশ বিশ্বাস, তাঁর ছেলে রিপন বিশ্বাস, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্র ও ঢাকুরিয়া ডাকঘরের অস্থায়ী কর্মী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোস্টাল থানা এলাকার বাসিন্দা দীপক মণ্ডল, বসিরহাট পোস্ট অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর তারকনাথ সেন এবং বেহালার পর্ণশ্রীর DTP কর্মী দীপঙ্কর দাসের পর এবার মোক্তার আলম। ধৃতের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের শিকদেশপুরে। এই নিয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতিতে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ৬। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোক্তার আলমকে তারা চিনতেন আসরাফুল নামে।
বুধবার ধৃত মোক্তারকে আদালতে পেশ করে সরকারি আইনজীবী সওয়াল করেন, এই চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের যোগ থাকতে পারে। এত ভুয়ো আধার কার্ড, প্য়ান কার্ড বাংলাদেশের নাগরিকদের হাতে তো পৌঁছে দেওয়া হচ্ছেই। এর মাধ্য়মে মানব পাচারও হতে পারে। সেটাও দুশ্চিন্তার। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, এতদিন ধরে এই চক্র চলছিল কী করে? কী করছিল প্রশাসন? ধৃত মোক্তারের কাছ থেকে ২৩টি জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্য়ে রয়েছে অন্য়দের নামে রাশি রাশি আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্য়ান কার্ড, পাসবুক। পাসপোর্ট জালিয়াতির জন্য়ই এইসব নথি সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
পাসপোর্ট জালিয়াতির কিংপিন সমরেশ বিশ্বাসের বাংলাদেশেও নেটওয়ার্ক রয়েছে, এই প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। সূত্র মারফত খবর, বাংলাদেশে যাতায়াত ছিল বারাসাত থেকে ধৃত সমরেশের।টাকার বিনিময়ে কারা ভারতে ঢুকতে চায়, তাদের তথ্য জানতেই বাংলাদেশে যেত সমরেশ। সমরেশের হয়ে বাংলাদেশে কাজ করে একাধিক এজেন্টও। গ্রেফতারির আগেরদিনই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফেরেন সমরেশ। সূত্রের খবর, পুলিশি অভিযানের আশঙ্কায় গত ১০ ডিসেম্বর স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যান সমরেশ।গত ১২ তারিখ কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের গোয়েন্দারা বারাসতের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছেলে রিপন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেন। ১৩ তারিখ বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসেন সমরেশ ও তাঁর স্ত্রী। ১৪ ডিসেম্বর সমরেশকে গ্রেফতার করে SOC.