মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: রাতভর হাতির তান্ডব, দুর্গাপুর (Durgapur) জুড়ে আতঙ্ক। শনিবার (Saturday) রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ প্রথম মায়াবাজার এলাকার মানুষজন খবর পান দামোদর (Damodor) নদ পেরিয়ে একটি হাতি ঢুকে পড়েছে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কাউন্সিলার স্বরূপ মন্ডলকে, খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও বন দফতরকে। এরই মধ্যে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমা হলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। দুর্গাপুরের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার নীলরতন পান্ডা জানান, দামোদর পাড় করে দিয়ে হাতিটিকে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার দিকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে , ডাকা হয়েছে বন দফতরের বিশেষ এক্সপার্ট টিমকে। এইদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরের মায়াবাজার সহ আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।


জলপাইগুড়িতে হাতির হানায় মৃত্যু


কিছুদিন আগেই জঙ্গলের ভিতরে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে  গিয়ে হাতির হানায় (Elephant Attack) মৃত্যু (Death) হয়েছিল দুই মহিলার (Women)। ঘটনাটি ঘটেছিল জলপাইগুড়িতে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও এক জন। তিনি  উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে গরুমারা সাউথ রেঞ্জের অন্তর্গত জঙ্গলে। নিহত ও আহত মহিলাদের বাড়ি মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধুপঝোরার মুচি পাড়া এলাকায়।  এই ঘটনায় সমগ্ৰ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


ঝাড়গ্রামে হাতির তাণ্ডব


এর আগে সাঁকরাইল ব্লকের বহড়াদাড়ি এবং হাড়িভাঙ্গা গ্রামে হাতির তাণ্ডবের খবর সামনে এসেছিল। খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করছিল হাতির দল। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও উদাসীন বন দফতর। ইতিমধ্যে নতুন করে হাতির দল ঢোকাতে বন দফতরের চিন্তা যেমন বেড়েছে ঠিক তেমনই গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত। বহড়াদাড়ি এলাকায়  ৩০ থেকে ৩৫টি হাতির দল ঢুকে চাষের জমিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। খাবারের সন্ধানেই এই কাজ করেছে তাঁরা বলে অনুমান।


আরো পড়ুন: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিশিষ্টদের, খোঁচা তথাগত-র