মুম্বই: ঘণ্টায় ১৪০ বা তার বেশি গতিতে বল করাটা তাঁর অভ্যেস। কিন্তু মাথায় গুরুতর চোট পেয়েও এভাবে দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্স। হ্যাঁ, শনিবার রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals) ও বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) ম্যাচে তেমনই করলেন নভদীপ সাইনি (Navdeep Saini)। প্রথমে ফিল্ডিং করতে গিয়ে মাথায় চোট পেলেন বাজেভাবে। কিন্তু এরপর ফাইনাল ওভারে এসে করলেন দুরন্ত বোলিং। ম্যাচেও রাজস্থান জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।
কীভাবে লাগল চোট
মুম্বই ইনিংসের ১৩ তম ওভারে বল করছিলেন রাজস্থানের ট্রেন্ট বোল্ট। সেই সময়ই পুল শট মারেন অর্ধশতরান হাঁকানো ঈশান কিষাণ। কিন্তু সেখানেই শট মাঠের বাইরে পাঠাতে পারেননি তিনি। সোজা বল তালুবন্দি করেন নভদীপ সাইনি। কিন্তু ক্যাচ ধরার পরে উল্টে পড়ে যান তিনি। আর ঠিক তখনই তাঁর মাথার পেছনে চোট লাগে। বেশ কিছুক্ষণ মাঠেই মাথা নিচু করে, মাথার পেছনে হাত বোলাচ্ছিলেন সাইনি। সতীর্থরাও সঙ্গ সঙ্গে দৌড়ে আসেন। কিন্তু এরপর যদিও ইনিংসের ফাইনাল ওভারে এসে মাত্র ৫ রান দিয়ে কায়রন পোলার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি।
বাটলারের সেঞ্চুরি
মুম্বই ম্যাচের নায়ক যদিও রাজস্থানে ওপেনার জয়ের নায়ক জস বাটলার। প্রতিপক্ষ বোলিং আক্রমণে যশপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) মতো ধুরন্ধর অধিনায়ক। সর্বোপরি, পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। কিন্তু বিপক্ষকে কার্যত সাধারণের পর্যায়ে নামিয়ে আনলেন জস বাটলার (Jos Buttler)। ঝকঝকে সেঞ্চুরি করলেন। মাত্র ৬৬ বলে। এটাই এবারের আইপিএলের (IPL) প্রথম সেঞ্চুরি। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৬৮ বলে ১০০ রান করে আউট হলেন বাটলার। শেষ পর্যন্ত বুমরার বলেই আউট হন। তবে তার আগে যা ক্ষতি করার করে দিয়েছেন বাটলার। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রানের পাহাড় গড়ে রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ১৯৩/৮।