রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: অবশেষে রাস্তা পাচ্ছে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সারিন্দা শিল্পী মঙ্গলাকান্ত রায়ের গ্রাম। ১০২ বছর বয়সী শিল্পীর জন্য তৈরি করে দেওয়া হবে বাড়িও। গতকাল তাঁর বাড়িতে গিয়ে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি। গত সপ্তাহেই জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির সারিন্দা শিল্পীকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। তখনই তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেন, আবাস যোজনা থেকে শুরু করে কোনও সরকারি সাহায্যই পাননি তাঁরা। গ্রামের রাস্তাও বেহাল। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই সাহায্যের ঘোষণা করল প্রশাসন।
পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সারিন্দা শিল্পী পাশে প্রশাসন: ১০২ বছর বয়সী শিল্পীকে ১০২টি লাল গোলাপের মালা পরিয়ে জানানো হল সম্মান। দেওয়া হল শাল, মিষ্টি...ধুতি... পাঞ্জাবি। পদ্মশ্রী পাচ্ছেন সারিন্দা শিল্পী মঙ্গলাকান্ত রায়- কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই ব্যস্ততা বেড়েছে শিল্পীর। দিন-রাত শিল্পীর কুঁড়ে ঘরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আনাগোনা। প্রতিশ্রুতির বন্যা। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম ধওলাগুড়ি। সেখানেই থাকেন শতায়ু সারিন্দা বাদক মঙ্গলাকান্ত রায়। সোমবার রাতে তাঁর বাড়িতে আসেন জেলা পরিষদের আধিকারিকরা।
সাহায্যের ঘোষণা করল প্রশাসন: প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো বাদ্যযন্ত্র সারিন্দা। ১৯৪০ সালে ৫ টাকা দিয়ে এই যন্ত্র কিনেছিলেন শিল্পী। সেই থেকেই মঙ্গলাকান্তর সঙ্গী সুরেলা সারিন্দা। যন্ত্র জীবনে সুর এনে দিয়েছে, দিয়েছে স্বীকৃতি। কিন্তু দূর হয়নি অভাব। গত সপ্তাহে পদ্মশ্রী প্রাপক শিল্পীর স্ত্রী চম্পা রায় বলেন, “আমরা কিছু পাইনি। কোনও সরকারি সাহায্য পাইনি। ঘর বা বেকার ভাতাও পাই না। রাস্তা খুব খাবাপ। কাকে বলব, ভয় লাগে। বলে কি মার খাব না কি?’’ এর পরই জেলা পরিষদের তড়িঘড়ি আশ্বাস- ঘরবাড়ি, রাস্তা - এবার সব হবে। প্রশাসনের আশ্বাসে খুশি শিল্পী। খুশি গ্রামের বাসিন্দারা। পদ্মশ্রী প্রাপক সারিন্দা শিল্পী বলেন, “সবটাই ভাগ্যের ফের। ভাল লাগছে আমার নামে রাস্তা হচ্ছে। বাড়ি পাব শুনে ভাল লাগছে। জানি না নাম কেন কাটা হয়েছিল।’’