সোমনাথ দাস, দাসপুর: রাজ্যে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জেলায় জেলায় পরিদর্শন করছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আর এরই মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের রান্নার ক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থার ছবি দাসপুরে।
চরম অব্যবস্থার ছবি দাসপুরে: দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর এলাকায় রয়েছে নির্ভয়পুর বড়শিমুলিয়া সেনাপতি পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করে আশেপাশের গ্রামের অন্তত ৫০ শিশু। শিশুদের বসার জন্য রয়েছে পাকা বাড়ি। তবে নেই রান্নাঘর। ফলে রাস্তার ধারে ত্রিপল টাঙিয়ে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না। সেই ত্রিপল ও ফেটে গিয়েছে চারদিক থেকে। রান্নার মধ্যে উড়ে এসে পড়ছে ধুলো। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর দাবি, রান্নাঘরের জন্য বারবার প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েও মেলেনি সাড়া। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এমন বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রাও। শিশুদের সুস্বাস্থ্যের জন্য যখন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার কথা। সেখানে কীভাবে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা হচ্ছে? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল: মিড ডে মিলের হাল খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। আজ দুটি দলে ভাগ হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অনুসন্ধান চালাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। গতকাল বিকাশ ভবনে গিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, স্কুল এডুকেশন কমিশনার ও মিডডে মিলের প্রজেক্ট ডিরেক্টরের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। গতকাল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিনটি স্কুলও ঘুরে দেখেন তাঁরা।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজের পর এবার মিড ডে মিলের 'অনুসন্ধানে' জেলায় জেলায় ঘুরছে কেন্দ্রীয় দল। উত্তর থেকে দক্ষিণ, দুই ২৪ পরগনার তিন স্কুল ঘুরে দেখেন তাঁরা। পড়ুয়াদের পুষ্টি থেকে মিড ডে মিলের খাবারের মান-সহ ৩২টি দিক খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সোমবার সকালে, প্রথমে বিকাশ ভবনে আসেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মণীশ জৈন, স্কুল এডুকেশন কমিশনার শুভ্র চক্রবর্তী, মিডডে মিলের প্রজেক্ট ডিরেক্টর তপনকুমার অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: অবশেষে রাস্তা পাচ্ছে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সারিন্দা শিল্পী মঙ্গলাকান্ত রায়ের গ্রাম