১২ দিন পার, কবে পহেলগাঁও হামলার বদলা? ফুঁসছে গোটা দেশ। ‘দেশের মানুষ যা চাইছে সেটাই হবে’, এরই মধ্যে আশ্বাস দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এরই মধ্যে সামনে এল একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার। প্রায় ২০ বছর আগে সন্ত্রাসের পথ ছেড়েছিল মহম্মদ কালু। এক সময় কাশ্মীর উপত্যকা কাঁপত তার ত্রাসে । নিউজ তক-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মহম্মদ কালু বলে, কাশ্মীর উপত্যকায় এত বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা কীভাবে হল। এমনকী সে কেন্দ্রের মোদি সরকারকেও পরামর্শ দেয়, কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ কীভাবে নির্মূল করা যায়, সে বিষয়ে।
আগে ছিল সন্ত্রাসবাদী। এখন সে-পথ ছেড়েছ মহম্মদ কালু। সে ওই সাক্ষাৎকারে জানায়, পহেলগাঁওয়ে যে এত বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, তা পাকিস্তানেরই কাজ। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ বাড়াতে চিনও পাকিস্তানের সঙ্গে তৎপর। কালু বলে, আসল কথা হল, কাশ্মীরের অর্ধেক পাকিস্তানের ভেতরে। পরিস্থিতি খুব খারাপ।
পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদীরা মানুষ নয়: কালু
এক সময় জঙ্গি কার্যকলাপ ছিল তার ডাল-ভাত। আর এবার পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করল সন্ত্রাসবাদের পথ ছেড়ে আসা মহম্মদ কালু। 'আমার দুঃখ হচ্ছে যে পহেলগাঁওয়ে যা হয়েছে...বাচ্চা হোক বা মহিলা...তাঁরা বাইরে থেকে আসা অতিথি ছিলেন। তোমরা তাদের সঙ্গে এ কাজ করেছ। তাঁদের কাছে কোন অস্ত্র ছিল? তাঁরা তো ঘুরতে এসেছিলেন। তোমরা মানুষ নাকি পশু? যেই এই কাজ করেছে, সে মানুষই নয়। মানুষ প্রজাতিরই নয়।'
সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম নেই: পূর্বতন সন্ত্রাসবাদী
মহম্মদ কালু বলে, 'যারা বলছে সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের কাছে তাঁদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করেছে এবং কলমা পড়তে বলেছে, আমি বলি সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম নেই। কোনও বিশ্বাস নেই। যদি তাঁদের জেনেই থাকে...যে এরা বাইরে থেকে এসেছে...তাহলে আমি কেন তাঁদের মারবো? পর্যটকরা আমাদের কাশ্মীর দেখতে এসেছে। তাদের কাছ থেকে আমরা দু'বেলা খাবার পাই।'
আমি কখনও পাকিস্তান যাইনি: কালু
সন্ত্রাসবাদের পথ ছেড়ে আসা কালু বলে, এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় পাকিস্তানের সেনা কীভাবে সাহায্য করে, আমি যদি পাকিস্তান গিয়ে থাকতাম, তাহলে বলতে পারতাম, পাকিস্তান সেনা কীভাবে সাহায্য করে। আমি কখনও সীমান্ত পার হইনি'
মোদি সরকারকে কী পরামর্শ ?
কালু কেন্দ্রের মোদি সরকারকে পরামর্শও দিয়েছে। তার মতে, ভারতীয় সেনার জওয়ানরা যারা জম্মু-কাশ্মীরে মোতায়েন থাকে, তাদের কাছে এই এলাকা সম্পর্কে তথ্য থাকে না। আমি বলি, যদি নরেন্দ্র মোদি সরকার যদি গুজ্জর-বকরওয়ালদের একটি রেজিমেন্ট তৈরি করে, তাহলে কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল করা যাবে।