নয়াদিল্লি: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের জ্বালা ভুলতে পারছে না পাকিস্তান। পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের প্রথম ব্রহ্মাস্ত্রই ছিল সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল। সিন্ধুর দুই শাখানদীর ওপরই নির্ভর করে আছে পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ চাষাবাদ ! এখন এই জলটাই অনিয়মিত হয়ে পড়লে , পরিণাম যে কী ভয়াবহ হতে পারে, তা এখন থেকেই টের পেতে শুরু করেছে শাহবাজ শরিফের দেশ। আর তা বুঝেই, কখনও দেশের মাটিতে, কখনও বিদেশে গিয়ে ভারতকে হুমকি দিয়েই চলেছে পাক নেতারা। একবার ফের সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। এবার আমেরিকার ফ্লোরিডায় দাঁড়িয়ে প্রবাসী পাকিস্তানিদের সামনে বিরাট গর্জন করে বসলেন মুনির। বললেন, ভারত সিন্ধু বা তার শাখানদীর উপরে বাঁধ করলে, তারাও বসে থাকবেন না চুপ করে। পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্রের অভাব নেই। ভারত সিন্ধুর জল বাঁধ দিয়ে আটকালে ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়বে গুজরাতের জামনগরে। মুনিরের কথায়, পাকিস্তানের টার্গেট হবে মুকেশ অম্বানীর জামনগর তেল শোধনাগার !
পাকিস্তানের অনারারি কনসাল আয়োজিত এক ব্ল্যাক-টাই ডিনারে প্রায় ১২০ জন পাকিস্তানি প্রবাসীর দের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে, মুনির বলেন, গুজরাতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড রিফাইনারিকে টার্গেট করবে পাকিস্তান। সিন্ধুর জল নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে পাল্টা আঘাত হানা হতে পারে ভারতের অর্থনীতির অন্যতম শক্ত পিলার মুকেশ অম্বানীর জামনগর তেল শোধনাগার !
আমেরিকার মাটি থেকে ভারতের উদ্দেশে এমন হুমকিকে ভাল চোখে দেখছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি শুল্ক নীতি নিয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণে পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা থেকে মুনিরের হম্বিতম্বিকে সহজ ভাবে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। মুনির এদিন হুমকির সুরে বলেন, পাকিস্তানের পরমাণু শক্তিধর দেশ। যদি মনে হয় পাকিস্তান ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে, তবে অর্ধেক বিশ্বকে সঙ্গে নিয়ে ধ্বংস হব।
মুনির রীতিমতো হুমকির সুরেই বলেন, ভারত বাঁধ তৈরি করুক ! তারপর পাকিস্তান ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধূলিসাৎ করে দেবে ওই বাঁধ। ওই অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোন এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। তবে অংশগ্রহণকারীদের মুখ থেকেই এই সব তথ্য পেয়েছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।