মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান:  মহা শিবরাত্রিতে রাজ্য থেকে দেশ, সর্বত্র মহাসমারোহে পালিত হয় শিবরাত্রি। দেশের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরে উত্সবের ছবি। মন্দিরে মন্দিরে ভক্তদের ভিড়। ব্রত পালন। 


পুরাণ মতে, শিবকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য রাত জেগে উপবাস করে শিবের আরাধনা করেছিলেন দেবী পার্বতী৷ তারপর থেকেই এই শিবরাত্রি ব্রতের প্রবর্তন৷ রীতি অনুযায়ী, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষে ত্রয়োদশী, চতুর্দশীতে সকাল থেকেই নির্জলা উপবাস করে মহাদেবের মাথায় ফুল বেলপাতা চড়ান কুমারী মেয়েরা৷ তবে, শুধু কুমারী মেয়েরাই নয়, এই ব্রত পালন করেন সববয়সী পুরুষ-মহিলারাই। 


সেই  রীতি মেনে শিব পার্বতীর বিয়ে অনুষ্ঠিত হল পানাগড় শিব মন্দিরে। প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে হয়ে আসছে এই রীতি। শুক্রবার গভীর রাতে হিন্দু শাস্ত্র মতে শিব পার্বতীর বিয়ে হয়।                                                              


কেমন ছিল এই অনুষ্ঠান? 


মহা ধুমধামে আয়োজিত এই বিয়ের অনুষ্ঠানে বরযাত্রী কন্যাযাত্রী মিলে হাজারেরও সংখ্যায় ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবছর ভক্তরাই কনেপক্ষ এবং বরপক্ষ সেজে এই বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হন। প্রতি বছরের মত শুক্রবার সন্ধ্যায় পানাগড় বাজারের বিশ্বকর্মা মন্দির থেকে বের হয় শিবের বরযাত্রী। সেখান থেকে পানাগড়ের দার্জিলিং মোড় সংলগ্ন উড়িয়া বাবার শিব মন্দিরে গভীর রাতে পৌঁছয় বর যাত্রীরা। এর পরেই পুরোহিত বিয়ের মন্ত্র পাঠ শুরু করেন।                                                      


প্রায় ৫০ বছর ধরে পানাগড়ের দার্জিলিং মোড় সংলগ্ন এলাকার উড়িয়া বাবার মন্দিরে শিব পার্বতীর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে  হাজার খানেক ভক্ত ভিড় জমান উড়িয়া বাবার শিব মন্দিরে। ভক্তদের জন্য এদিন খিচুড়ি ভোগেরও আয়োজন করা হয়েছিলো পানাগড় শিব সেবা সমিতির পক্ষ থেকে।                                 


 


আরও পড়ুন, মহাদেবের সন্ধ্যারতির সময়েই মেঘগর্জন, শিবরাত্রির সঙ্গে মহাকালের রয়েছে বিশেষ যোগ ?