পার্থপ্রতিম ঘোষ, সন্দেশখালি: এবার সন্দেশখালি থানার OC বদল। বিশ্বজিৎ সাঁপুইকে পাঠানো হল বসিরহাট থানায়। বসিরহাট পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের গোপাল সরকারকে OC করে আনা হল সন্দেশখালি থানায়। সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরেই OC বদল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পুলিশের দাবি, এটা রুটিন বদলি।
সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এর আগে CI হাসনাবাদ এবং, বসিরহাট থানার IC কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বদলি করা হয়।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং শেখ শাহজাহানকে আশ্রয় দিচ্ছে পুলিশ, এই অভিযোগ উঠেছিল। সন্দেশখালিতেও বেড়মজুরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। অভিযোগ জানাতে গেলেও, উল্টে কেস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমনও বলা হয়েছিল। সেই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল গ্রামবাসীদের মুখে। সন্দেশখালিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জোড় চর্চা চলেছিল রাজনীতিতেও।
এদিকে আজ সন্দেশখালি নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরেও আজব দাবি করলেন সৌগত রায়। তৃণমূল সাংসদের দাবি, সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাজ্য পুলিশের DG নিজে গিয়ে জবানবন্দি নিয়েছেন মহিলাদের, জানতে চেয়েছেন এমন অভিযোগ রয়েছে কি না, কিন্তু অত্যাচারের কোনও অভিযোগই মেলেনি। একই সঙ্গে সৌগত রায়ের দাবি, সন্দেশখালিতে কিছু ঘটে থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশই গ্রেফতার করেছে। ED বা CBI শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেনি। শিবু, উত্তমদেরও রাজ্য পুলিশই গ্রেফতার করেছে। গতকাল খড়দার সভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের এই বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। যদিও আগেই সন্দেশখালিকাণ্ডে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি, সন্দেশখালির ঘটনা সংবাদমাধ্যম তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন সৌগত রায়।
আরও পড়ুন, ফের ধাক্কা পদ্মশিবিরে ! এবার বিজেপি ছাড়লেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম
পাশাপাশি, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন দরকার বলে মন্তব্য করলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অবাধ ভোট হলে তৃণমূল মুছেও যেতে পারে। বিজেপির ফল অসম্ভব ভাল হবে। পুলিশ ওপর মহলের নির্দেশে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে। সাধারণ মানুষের রোষ তুলে ধরায় সাংবাদিকদের হেনস্থা করছে।চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক অবস্থা চলছে, এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না। সন্দেশখালিতে মা-বোনের ওপর অত্যাচার হল, অথচ মুখ্যমন্ত্রী একদিনও যাননি বলে মন্তব্য করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।