কলকাতা: নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তি, সন্ত্রাসের খবর সামনে এসেছে। তাই রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে ভোট করানোর দাবি তুলছিলেন বিরোধীরা (Panchayat Elections 2023)। তাতে এবার সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের কিছু জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আদালতে সেই তালিকা জমা দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই। ওই সমস্ত জায়গায় আজ এবং এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Calcutta High Court)। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্পর্শকাতর জেলার তালিকায় উত্তর ২৪ পরগনার একাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর রয়েছে। তালিকায় রয়েছে মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি এবং হুগলিও।
আপাতত কিছু জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হলেও, আগামী দিনে গুরুত্ব বুঝে সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত। সেই নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে রাজ্য নিরাপত্তা কমিশনকে। পরিস্থিতি বুঝে রাজ্য সরকার চাইলে, কেন্দ্রীয় সরকার বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। তা নিখরচায় হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত একাধিক জায়গা থেকে অশান্তি, সন্ত্রাসের অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই পঞ্চায়েত ভোটের নির্দেশ। যেখানে রাজ্য পুলিশের সংখ্যা কম, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই বলে আদালতে জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। সেই মর্মেই আদালতে জোর ধাক্কা খেতে হল রাজ্যকে।
আরও পড়ুন: Panchayat Elections 2023: বাড়ল না মনোনয়নের সময়সীমা, পঞ্চায়েত নিয়ে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট
এর পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুরক্ষায় মোতায়েন করা যাবে না সিভিক ভলান্টিয়ার। সিভিক ভলান্টিয়ার সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনেই ভোট করানোর নির্দেশ। একান্ত নিরুপায় হলে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা যেতে পারে, নির্দেশ হাইকোর্টের। ভোট কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কমিশনকে নির্দেশ দিল আদালত। সমস্ত বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ, প্রয়োজনে ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ।
তবে এ দিন মনোনয়নের সময়সীমায় হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট। ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ৯ জুনের বিজ্ঞপ্তিই বহাল রইল।
আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে কমিশন, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কমিশনের উপরই ছাড়া হল। অনলাইনে মনোনয়ন পেশের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জোড়া মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে ভোটগ্রহণ, মননোয়ন পেশের সময়সীমা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে দায়ের হয় মামলা। বিরোধীদের দাবি ছিল, মনোনয়নে জমা দেওয়ার জন্য সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টের পর্যন্ত যে সময় বরাদ্দ করা হয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু মনোনয়নের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করল না আদালত।