কোচবিহার: দোরগড়ায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। কোচবিহারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ যাত্রার আজ দ্বিতীয় দিন। আজ সভার শুরুতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে (BJP Govt) নিশানা করলেন অভিষেক। এদিন ফের তিনি বলেন,'ধর্মের নামে নয় কাজের নিরিখে ভোট দিন'। গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে বলেন, 'বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।' 


তিনি বলেন,'কোন নেতার হাতে-পায়ে ধরে টিকিট পাওয়া যাবে না। প্রার্থী ঠিক করবেন সাধারণ মানুষ। তৃণমূল আপনাদের সুযোগ করে দিয়েছে নিজেদের প্রার্থী ঠিক করার। পঞ্চায়েত স্তরে প্রার্থী ঠিক করবেন জনতাই। এমন উদ্যোগ এর আগে কোনও রাজনৈতিক দল নেয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আপনাদের প্রার্থীকে জেতাবে।' পাশাপাশি তিনি এদিন আরও বলেন, 'আগামী ৫ বছর আপনাদের দুয়ারে পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।গোপন ব্যালটে মতামত জানানোর সুযোগ থাকছে। ব্যালটে মত জানাতে না পারলে ফোনে মতামত জানাতে পারবেন। প্রার্থী সম্পর্কে মতামত সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে। সঠিক প্রার্থী চয়ন করাই দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েতের প্রথম ধাপ' 


অপরদিকে, তিনি এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন,'বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। জোর করে ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। ধর্মের নামে নয় কাজের নিরিখে ভোট দিন। বাংলার স্বার্থে কী করেছেন নিশীথ প্রামাণিক। এক কোটি মানুষের চিঠি নিয়ে দিল্লি যাব প্রাপ্য টাকা আদায় করতে। কোচবিহারের মানুষ ধর্মের নামে ভোট দিয়েছিলেন।'


প্রসঙ্গত, ঘোষণা হওয়া মাত্রই তুলনা শুরু হয়। তা মাথায় রেখেই 'জনসংযোগ যাত্রা'র সূচনা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে প্রচারাভিযান হিসেবেই দেখা হচ্ছে এই 'জনসংযোগ যাত্রা'কে। অবধারিত ভাবে তুলনা হচ্ছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র (Bharat Jodo Yatra) সঙ্গে। যদিও অভিষেকের দাবি, তাঁর এই যাত্রা মোটেও 'ভারত জোড়ো যাত্রা' নয়।


 তবে খাতায়-কলমে এই কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছে 'তৃণমূলে নবজোয়ার'।  এই কর্মসূচির দু'টি অঙ্গ রয়েছে, প্রথমটি হল, জনসংযোগ যাত্রা, এবং দ্বিতীয়টি হল, গ্রাম বাংলার মতামত। তার আওতায় গ্রামাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানান অভিষেক। 


আরও পড়ুন, মাথার সব চুল কেটে ফেলবেন, কী নিয়ে চ্যালেঞ্জ তৃণমূল বিধায়কের ?


অভিষেক জানিয়েছেন, রাজ্যের ৬০ হাজার গ্রামীণ বুথে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে মানুষের মতামত নেবে তৃণমূল। বছরের ১২ মাস, দিনের ২৪ ঘণ্টা মানুষের পাশে থেকে পরিষেবা পৌঁছে দেবেন যিনি, এমন কাউকেই পঞ্চায়েতে প্রার্থী করা হবে বলে জানান অভিষেক। তিনি জানান, সাধারণত জেলা নেতৃত্বের তরফে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র এসে পৌঁছয়। তার পর ভাবনা-চিন্তা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করেন নেতৃত্ব। এ ক্ষেত্রে জেলার তরফে সুপারিশপত্র এলেও, মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ভারতে এই প্রথম বার গ্রামের মানুষই পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করবেন বলেও জানান অভিষেক।