কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের সম্বর্ধনা দিতে রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আর কলকাতায় এসেই রাজ্যে ভোট-হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। অনুরাগ ঠাকুর শহরে এসে বলেছেন, '..মমতার সময় ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে।'


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের সম্বর্ধনা দিতে রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁকে স্বাগত জানায় বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। তিনি প্রথমে যান হুগলির কামারপুকুরে। শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের জন্মস্থানে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এরপর খানাকুলে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের সম্বর্ধনা দেবেন অনুরাগ ঠাকুর।


এদিন অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, '৫৭-র বেশি মানুষকে খুন করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আপনার নির্দেশে আপনার দলের কর্মীরা গুন্ডামি করেছে। রাজনৈতিক লাভের জন্য গত ৮-৯ বছর ধরে আপনি অপরাধীদের সংরক্ষণ দিয়েছেন। কিন্তু মানুষ ভোটে আপনাকে জবাব দিয়েছে। বিজেপির আসন গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে।এটাই প্রমাণিত হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সময় ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে', রাজ্যে এসে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের।


প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে প্রার্থীদের ঘরে বোমাবাজি, বেধড়ক মার, একের পর এক খুনের ঘটনা হয়েছে। মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোট, এমনকি ভোটপরবর্তীতেও পিছু ছাড়েনি হিংসা। মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা-সহ একাধিক জেলায় খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যপাল নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। রাজভবনে অভিযোগ জানাতে কন্ট্রোল খোলারও নির্দেশ দিয়েছিলেন।


তবে হিংসার ঘটনার শিকার শুধু বিরোধীরাই নয়, শাসকদলও। যদিও এই ঘটনাগুলিতে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের দিকে আঙুল তুলেছে। প্রকৃতই কারা দায়ি, তা নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারেরাও আক্রান্তর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে, কথা বলেছে। পাশাপাশি আহত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীও দেখা করে ক্ষতিপূরণ হাতে তুলে দিয়েছেন। মৃত দলীয় কর্মীদের পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন, অধীরের নেতৃত্বে অশান্তি-বিধ্বস্ত মণিপুরে 'INDIA'


তবে এরাজ্যে জয়ের পর হিংসার শিকার যাতে হতে না হয়, তাই জয়ীদের অসমে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়েছিল বিজেপি। অনেকটাই এই ঘটনায় কর্ণাটক ভোটের ফলাফলের সময়ের ছায়া এসে পড়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। পরে ওই বিজেপি কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়ে আসে কোচবিহার পুলিশ।