করুণাময় সিংহ, মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে কংগ্রেস (Congress) ও তৃণমূলের (TMC) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদার রতুয়া। সংঘর্ষে আহত তৃণমূল পরিচালিত পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ২ পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছিল। শনিবার তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে কংগ্রেস কর্মী কটুক্তি করে বলে অভিযোগ।                                


তৃণমূলের দাবি, কর্মীরা প্রতিবাদ করলে বচসায় শুরু হয়। এরপরই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ২ পক্ষ। ভাঙচুর চালানো হয় ২ দলেরই অফিসে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুখুরিয়া থানার পুলিশ। দুপক্ষের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি নেই বলে এসব করছে, পাল্টা দাবি করেছে কংগ্রেস। 


এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মৈপীঠ কোস্টাল থানার গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী এলাকা। বুথ কমিটির বৈঠক সেরে ফেরার সময় বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ৬ বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পাল্টা  কুলতলির তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান, ২ মহিলা সহ বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করেছে বিজেপির কর্মীরাই। ঘটনাস্থলে মৈপীঠ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।                                                                                                        


আরও পড়ুন, 'নেতার ছেলেকে ডাক্তারিতে সুযোগ পাইয়ে দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু'! আরও বিস্ফোরক অভিযোগ উদয়নের


অন্যদিকে, দুই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের পর থমথমে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দিঘাপানা গ্রাম। ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা।দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। গ্রামে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। গতকাল পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাই ঘিরে তৃণমূলের বুথ কমিটির সভা থেকে বেরোতেই খুনোখুনির ঘটনা ঘটে। তৃণমূলই তৃণমূলকে মেরেছে বলে অভিযোগ করেন মৃতের পরিবারের লোকজন।