কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) নিয়ে বেলাগাম সন্ত্রাস, এবার 'সক্রিয়' বিএসএফ (BSF)। ভোট পরবর্তী হিংসা খবর সরাসরি জানানোর আবেদন বিএসএফের। সব জেলায় জওয়ান আছে, খবর পেলেই যাওয়ার আশ্বাস বিএসএফের। শীঘ্রই জেলা ভিত্তিক নোডাল অফিসারের তালিকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। আজই রাজভবনে গিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে নালিশ বিএসএফের। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না দেওয়ার অভিযোগ। কমিশনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখার অভিযোগ বিরোধীদের। রাজভবনে বিএসএফের স্পেশাল ডিজি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট বিএসএফের স্পেশাল ডিজির। স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না দেওয়ার অভিযোগ কমিশনের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে কী ভূমিকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর? সেই বিষয়েও রাজ্যপালকে রিপোর্ট বিএসএফের স্পেশাল ডিজির। 


এদিকে, ভোটে সন্ত্রাস, নবান্নে আইজি বিএসএফের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক হল এদিন। নবান্নে জেলা শাসকদের সঙ্গেও মুখ্যসচিবের বৈঠক। প্রতি জেলায় ৩জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। ডিএম-এসপি-বিএসএফের নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত। 


উল্লেখ্য,  বেশ কিছু জায়গায় পুনরায় ভোটগ্রহণ হলেও, মোটামুটি ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গিয়েছে। কিন্তু এ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ইতি পড়ার লক্ষণ নেই। বরং যত দিন যাচ্ছে বাড়ছে সংঘাত, আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণ। নির্বাচনী সন্ত্রাসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্য়ে যখন উপস্থিত বিজেপি-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সেই নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে জায়গায় জায়গায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সেই নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সরাসরি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) নিশানা করলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। তাঁর বক্তব্য, "বিজেপি-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে রাজ্যপালেরও থাকা উচিত। মণিপুরেও যাওয়া উচিত রাজ্যপালের। উনি তো রাজনৈতিক কর্মীর মতই কাজ করছেন!"


পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ভূরি ভূরি হিংসা, অশান্তি এবং হানাহাানির খবর সামনে এসেছে, তার নেপথ্যে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেো এদিন দাবি করেন শোভনদেব। তিনি বলেন, "গণতন্ত্রে মানুষ নিজের মতামত জানাবেন। নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। তাতে হিংসার ঘটনা কাম্য নয় একেবারেই। কিন্তু হিংসার পরিকল্পনা আগে থেকেই সেরে রাখা হয়েছিল। মনোভাব ছিল যে, দিল্লিকে জড়ানোর, কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিতিতে গন্ডগোলের পরিবেশ তৈরি করার।"