কলকাতা: বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য-মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) স্বস্তি পেলেন অভিনেতা ও বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal)। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করল আদালত। গত ৩১ জানুয়ারি হাজিরার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বলি অভিনেতা। আজ পরেশের বিরুদ্ধে ওঠা মামলা খারিজ করল আদালত।


বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মন্তব্য, পরেশ রাওয়াল গুজরাটি ভাষায় মন্তব্য করেছিলেন। পরে ট্যুইট করে ক্ষমাও চান। তুলনায় তালতলা থানায় অভিযোগকারীর কাছে বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে।


গত শুনানিতে থানায় অভিযোগকারী সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের আইনজীবীকে গোটা ঘটনাক্রম খতিয়ে দেখে এই অভিযোগ জিইয়ে রাখার দরকার আছে কি না, জানতে চান বিচারপতি মান্থা। এদিন আইনজীবীরা জানান, এই ব্যাপারে আদালত যা ভাল বুঝবে সেটা করা হোক। এরপরেই আদালত ওই এফআইআর খারিজ করে অভিনেতা ও বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে যাবতীয় তদন্ত বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।


ডিসেম্বরে গুজরাত ভোটের প্রচারে একটি মন্তব্য করেছিলেন পরেশ রাওয়াল। তিনি বলেছিলেন, 'রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম কমলে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন?' 


বিতর্কিত এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রতিবাদের জেরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন পরেশ রাওয়াল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, অভিনেতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তাঁর নামে দায়ের করা হয়েছিল এফআইআর। এবার সেই মামলার ভিত্তিতেই হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়েছে অভিনেতাকে। সিআরপিসির ৪১এ ধারায় এফআইআর রুজু করা হয়েছিল অভিনেতার বিরুদ্ধে।  


আরও পড়ুন: Sidharth Kiara Wedding: চর্চায় সিড-কিয়ারার বিয়ে, এই আবহেই ভাইরাল জুটির নাচের ভিডিও


তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও অভিনেতাকে হাজিরার নোটিস পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু সেইসময়ে ই-মেল মারফত অভিনেতা জানান, শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এখনই হাজির হতে পারবেন না তিনি। এরপর এই মামলা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেতা।                                                                                                                                                         


বিতর্কিত মন্তব্য করার পরে ট্যুইটারে পরেশ রাওয়াল লিখেছিলেন, 'অবশ্যই মাছ নিয়ে আলাদা করে বলা ঠিক হয়নি। গুজরাতের মানুষও মাছ খান। বাঙালি বলতে আমি কী বুঝিয়েছি, সেটা স্পষ্ট করি এ বার। আমি শুধু বেআইনি ভাবে থাকা বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের কথাই বলতে চেয়েছি। কারও অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।'