পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ভারতীয় জাদুঘরে (Indian Museum) গুলিকাণ্ডে (Shootout) একের পর এক নতুন তথ্য। দু’ থেকে আড়াই মাস ধরে হেনস্থার শিকার হচ্ছিলেন হেড কনস্টেবল (Head Constable) অক্ষয়কুমার মিশ্র। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট ও সহকর্মীরা মানসিক অত্যাচার করতেন, উপহাস করতেন। তাই রাগ ছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট সুবীর ঘোষের ওপর। জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। বিরক্ত হয়েই গুলি চালিয়েছেন তিনি, স্বীকার করেন অক্ষয়। 


কিন্তু কীভাবে ঘটে এই ঘটনাটি? 


সূত্রের খবর, হেড কনস্টেবল অক্ষয়কুমার মিশ্রর নিশানায় ছিলেন অ্যাসিন্ট্যান্ট কমাডান্ট সুবীর ঘোষ ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার। গতকাল ঘটনার সময় গাড়ির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এএসআই রঞ্জিত সারেঙ্গি ও ওই দুই অফিসার। সেই সময় রোলকল চলাকালীন আচমকাই সেন্ট্রি পোস্ট AK 47 রাইফেল ছিনিয়ে এনে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন CISF জওয়ান। নিজেদের বাঁচাতে গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন ইন্সপেক্টর ও  অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্ট। ভয়ে ১, ৪ ও ৫ নম্বর ব্যারাকে থাকা জওয়ান ও অফিসাররা ঘর ছেড়ে জাদুঘর চত্বরে একটি পুকুরপাড়ে আশ্রয় নেন। এর মধ্যেই গুলিতে মৃত্যু হয় এএসআই রঞ্জিত সারেঙ্গির। AK 47-এ থাকা ৩০ রাউন্ডের মধ্যে ১৫ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ৪ নম্বর ব্যারাকে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন CISF জওয়ান। 


আরও পড়ুন, ২ মাস ধরে সহকর্মীদের হাতে হেনস্থা, বিরক্ত হয়ে গুলি চালিয়েছি, দাবি ধৃত সিআইএসএফ জওয়ানের


এদিকে এই ঘটনার পর অ্যাসিন্ট্যান্ট কমাডান্ট সুবীর ঘোষ হাতে গুলি লাগে। তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তদন্ত করতে রাতে ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক দল। পরে নিউ মার্কেট থানায় গিয়ে তারা CISF-এর গাড়িটিকেও পরীক্ষা করে। অন্যদিকে, ভারতীয় জাদুঘরে গুলিকাণ্ডের পরেই উল্টোদিকে MLA হস্টেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের QRT ভ্যান।