ব্রতদীপ ভট্টাচার্য এবং আবীর দত্ত, পার্ক স্ট্রিট: ব্যস্ত শহরে হাড়হিম করা শ্যুটআউট (Shootout)। বার্স্ট ফায়ারের শব্দে কেঁপে উঠেছিল ভারতীয় জাদুঘর (Indian Museum)। সিআইএসএফ (CISF) ব্যারাকে AK-47 থেকে চলে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি। সহকর্মীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক ASI। গুলিবিদ্ধ হন এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট। দেড় ঘণ্টার টানটান উত্তেজনা পর গ্রেফতার করা হয়েছে হামলাকারী হেড কনস্টেবলকে।
কিন্তু কেন এমন করলেন অভিযুক্ত?
জানা গিয়েছে, দু’ থেকে আড়াই মাস ধরে ঊর্ধ্বতন অফিসারের হাতে হেনস্থার শিকার হচ্ছিলেন। পুলিশের কাছে দাবি পার্ক স্ট্রিটে ভারতীয় জাদুঘরে বার্স্ট ফায়ারের ঘটনায় অভিযুক্ত CISF-এর হেড কনস্টেবল অক্ষয়কুমার মিশ্রর। খবর সূত্রের। গতকাল ভরসন্ধেয় ভারতীয় জাদুঘরে CISF-এর ব্যারাকে AK 47 রাইফেল থেকে পরপর ১৫ রাউন্ড গুলি চলে। সূত্রের খবর, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট সুবীর ঘোষ যে গাড়িতে ছিলেন, সেই গাড়ি লক্ষ্য করে ১৩ রাউন্ড গুলি ছোড়েন অক্ষয়। গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক দল। পরে নিউ মার্কেট থানায় গিয়ে তারা CISF-এর গাড়িটিকেও পরীক্ষা করে।ধৃত CISF জওয়ানকে আজই তোলা হবে আদালতে। অন্যদিকে, জাদুঘর চত্বরে গুলিকাণ্ডের পরেই উল্টোদিকে MLA হস্টেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের QRT ভ্যান।
আরও পড়ুন, গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড় পুলিশের গাড়ি, চাপ চাপ রক্ত ভিতরের আসনে, হতাহতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকবে!
ঘটনার প্রেক্ষাপট
ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ। জাদুঘরের ভিতর আশুতোষ শতবার্ষিকী হলের কাছে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ Central Industrial Security Force বা CISF-এর ক্যাম্প। ডিউটি শেষ করে সেখানেই জড়ো হয়েছিলেন জওয়ানরা। সূত্রের দাবি, হঠাত্ই AK-47 থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন হেড কনস্টেবল অক্ষয়কুমার মিশ্র। তাঁর গুলিতে মৃত্যু হয় CISF’র ASI রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গির। গুলিবিদ্ধ হন সুবীর ঘোষ নামে CISF-এর অ্যাসিন্ট্যান্ট কমান্ডান্টকে ভর্তি করা হয়েছে SSKM হাসপাতালে। ঘটনার পরই এলাকায় ছুটে আসে পুলিশ ও বিপর্যয়য় মোকাবিলা বাহিনী। আসেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। প্রায় দেড় ঘণ্টার টানটান উত্তেজনা চলার পর, রাত ৮টা নাগাদ
অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ।