কলকাতা: স্মোককাণ্ডের (Smoke Cannister Incident) তদন্তে ইকো পার্ক থানায় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল টিম। গতকাল বাড়ির চাবি না থাকায় ললিত ঝা-র রবীন্দ্র সরণির বাড়ির ভিতরে ঢুকতেে পারেননি তদন্তকারীরা। ললিত ঝা-র পরিচিত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ, সংগ্রহ করা হয়েছে একাধিক তথ্য। ললিত ঝা-র পরিবার ও পরিচিতদের সঙ্গে আজ কথা বলতে পারেন তদন্তকারীরা। ললিতের বাগুইআটির বাড়িতেও গেলেন তদন্তকারীরা। 


প্রসঙ্গত, সংসদে (Parliament Security Breach) স্মোক ক্যান নিয়ে তাণ্ডবের ঘটনায় ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে বাংলার (Bengal Connection) যোগ। ওই ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন ললিত ঝা ভাড়া থাকতেন বড়বাজারে। টিভিতে সংসদে স্মোক বম্ব নিয়ে তাণ্ডবের খবর দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেটির ঠিকানা ২১৮, রবীন্দ্র সরণী। এই বাড়িতেই একতলার একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন তিনি। যখন ছিলেন তখন স্থানীয় কিছু বাচ্চাকে পড়াতেন ললিত, তারপর বছর দেড়েক আগে হঠাৎ চলে যান। এখন সেই দরজায় তালা বন্ধ করা হয়েছে।


স্থানীয় এক বাসিন্দা নীলেশ বলেন, 'এখানে কোণার একটা ঘরে থাকত। ওই ঘরে পড়াত ওই ছেলেটা। বাচ্চারা আসত দেখতাম, বই নিয়ে আসত। জোরে পড়ত শুনতে পেতাম- তাই বুঝেছিলাম যে পড়ান।' কিন্তু ললিত একা থাকতেন কিনা, কারও সঙ্গে কথা বলতেন কিনা তা অবশ্য বলতে পারেননি ওই বাসিন্দা।


এবিপি-র প্রতিনিধি ওই ব্যক্তিকে ললিতের ছবি দেখানোর পর এক দেখাতেই ললিতকে শনাক্ত করেন ওই ব্যক্তি। ওই ললিতই এখানে ছিলেন বলে জানান তিনি।এখানে ভাড়া থাকতেন ললিত ঝা (Lalit Jha)। কিন্তু কীভাবে ভাড়া পেলেন তিনি? কারণ এই বাড়ির মালিক এখন দিল্লিতে থাকেন, ওই বাড়িতে যাঁরা ভাড়া থাকেন তাঁরা অনলাইনে বাড়ির মালিককে টাকা পাঠান। ললিত কার মাধ্য়মে ভাড়া পেয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।


সংসদে তাণ্ডব কাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা-কে জেরায় উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। হয় 'প্ল্যান এ' নয় 'প্ল্যান বি', রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে সংসদে তাণ্ডবে নেমেছিলেন স্মোক-কাণ্ডের হামলাকারীরা ! সংসদে অশান্তির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-কে জেরায় এমনই বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে বলে দাবি করল পুলিশ।তদন্তকারীদের দাবি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে সহযোগীদের মোবাইল ফোন পুড়িয়ে দিয়েছিলেন ধৃত মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা।


আরও পড়ুন, 'কারও অ্যাম্বিশন ঐশ্বর্যকে বিয়ে করবে..', রাজনীতির ময়দানে হঠাৎ কেন এমন বললেন TMC বিধায়ক চিরঞ্জিত ?


মূলত স্মোককাণ্ডে (Smoke Cannister Incident) ৬ রাজ্যে তদন্তে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল (Delhi Police Special Cell )। রাজস্থান, হরিয়ানা, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, বাংলা ও মহারাষ্ট্রে স্পেশাল সেল। এছাড়া তদন্তে আরও ৫০টি দল গড়া হয়েছে। আলাদা আলাদাভাবে অভিযুক্তদের ব্যাঙ্কের নথি পরীক্ষার কাজ চলছে। অভিযুক্ত নীলমের হরিয়ানার জিন্দের বাড়ি থেকে পুরনো ডায়েরি ও কিছু বই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জিন্দে নীলমের বাড়িতে হানা দিয়েছিল স্পেশাল সেলের ৮ জনের বিশেষ টিম।