দীপক ঘোষ, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : মুখোমুখি জেরায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ( Arpita Mukherjee ) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee ) ! দাবি ইডি (ED ) সূত্রে। পাশাপাশি, ইডি সূত্রে দাবি, তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে মিলছে না পার্থর বয়ান। হিসেব মিলছে না আরও অনেক কিছুরই । যেমন , বিধানসভা নির্বাচনের সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় কমিশনে সম্পত্তির যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাতে অর্পিতার সঙ্গে যৌথ কোনও সম্পত্তিরই উল্লেখ নেই !
হলফনামায় কি তথ্যগোপন?
তবে কি নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় কি তথ্যগোপন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? প্রশ্নটা উঠছে তার কারণ, কমিশনে দেওয়া হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, দু’হাজার পনেরো-ষোলো অর্থবর্ষ থেকে, দু’হাজার উনিশ-কুড়ি অর্থবর্ষ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে পার্থর বার্ষিক আয় কমেছে !
২০১১ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল মাত্র সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। ২০১৬ সালে, তা বেড়ে হয় সাড়ে ৫৭ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। আর, ২০২১’এর হলফনামা অনুযায়ী, ৯০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৬৩ টাকা।
পার্থর পৈত্রিক সম্পত্তি কত
২০১১ থেকে শুরু করে ২০২২, প্রতিটি ভোটে দায়ের করাহলফনামায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি বলতে নাকতলায় রয়েছে দেড় কাঠা জমির উপর বাইশশো বর্গফুটের দোতলা বাড়ি। যার, দাম ২৫ লক্ষ টাকা। আর শুধু তাই নয়, ২০১১ সালে দেওয়া পার্থর হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর একটি মারুতি SX-ফোর গাড়ি ছিল। ২০১৫’র হলফনামা অনুযায়ী, ছিল একটি ইকো স্পোর্টস গাড়ি। ২০২১ আসতে আশতে তাঁর না কি নিজের কোনও গাড়িও ছিল না। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের স্বর্ণালঙ্কার ভাণ্ডার সাধারণ মানুষকে বিস্মিত করলেও, এক বছর আগে পার্থর দায়ের হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর কোনও অলঙ্কার ছিল না।
চমকে দেবে আয়কর রিটার্নের তথ্য
শুধু এই নয় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আয়কর রিটার্নের তথ্য বলছে। ২০১৫ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আয় না কি কমেই চলেছে। যেখানে ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে আয় দেখানো হয়েছিল, ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা । সেখানে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তা আরও কমে না কি হয় মাত্র ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা।
নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্বাচন কমিশনে দায়ের হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ গোপন করেছিলেন?