মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং : ঝকঝকে নীল আকাশের সময় এটা নয়। এখন পাহাড়ের গা দিয়ে মেঘ চড়ছে গাভীর মতো। কাঞ্চনজঙ্ঘার ( Kanchenjunga ) সোনালি উঁকিও বিরলই। তাই পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় তেমন একটা নেই শৈলশহরে (Darjeeling ) । তবু যেসব পর্যটকরা চা-বাগান, বৃষ্টি ভেজা পাহাড় আর পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে ছুটে চলা টয় ট্রেনের টানে আসছেন, তাঁদের জন্য মন খারাপের খবর।
মেরামতি শুরু
মাথার ওপর স্বচ্ছ ছাউনি, ডাইনে বাঁয়ে পাহাড়ি গাছেদের মাঝে হারিয়ে যাওয়া মানেই টয় ট্রেন (Toy Train ) । এই বছরই নিউ জলপাইগুড়ি ( New Jalpaiguri) স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করল ভিস্তাডোম কোচযুক্ত টয় ট্রেন। তারপর বিভিন্ন সময় যান্ত্রিক ত্রুটিও ধরা পড়েছে। তাই তড়িঘড়ি কার্শিয়ং থেকে ঘুম পর্যন্ত রেলপথে মেরামতি শুরু করছে রেল । তাই শুক্রবার, ৫ অগাস্ট থেকে ৭ আগস্ট , রবিবার পর্যন্ত নিউ জলপাইগুড়ি জাংশন থেকে দার্জিলিং এবং দার্জিলিং থেকে নিউ জলপাইগুড়ি জাংশন (NJP ) পর্যন্ত টয় ট্রেন পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কার্শিয়ং থেকে ঘুমের মাঝে লাইন মেরামতির জন্য রবিবার, ৭ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকছে নিউজলপাইগুড়ি-দার্জিলিং টয় ট্রেন চলাচল। সামনে পুজোর মরশুম, সেই সময় পাহাড়ে ভিড় বাড়বে পর্যটকদের। তার আগে যাত্রীদের চাপ কম থাকায় টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রেখে লাইন মেরামতের সিদ্ধান্ত।
মন খারাপের খবর
সপ্তাহ শেষে ছুটি ( Weekend Trip ) কাটাতে অনেকেই পাহাড়ে যান। বিশেষত কাছাকাছি সমতল অঞ্চল থেকে ভ্রমণপিপাসুরা আসেন পাহাড়ে। কিন্তু যাঁরা টয় ট্রেনের জন্যই আসছেন, তাঁদের জন্য নিঃসন্দেহে মন খারাপের খবর।
১৮৮১ সালে দার্জিলিংয়ে পাহাড়ের গাঁ ঘেঁষে মিটারগেজ লাইনের উপর দিয়ে প্রথম চালু হয় টয় ট্রেন। সমুদ্র তল থেকে ২ হাজার ২৫৮ মিটার উঁচুতে। ২০ বছর আগে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর, দার্জিলিঙের টয় ট্রেনকে হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করে The United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization বা UNESCO। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, ডিএইচআর বা টয় ট্রেন ২ ফুট (৬১০মিমি) গেজ রেলপথে চলাচল করে নিউ জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিংয়ের মধ্যে। এই রেলপথে সবথেকে বড় আকর্ষণ হল পাহাড়ি পথ, ভারতের সর্বোচ্চ রেলওয়ে স্টেশন ঘুম, বাতাসিয়া লুপ, কার্শিয়ং।