সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ-সহ ৭জনেরই ফের জেল হেফাজত দিল আদালত (Court)। এদিনও জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কিন্তু ধোপে টিকল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সওয়াল। বরং খারিজ হল জামিনের (Bail) আর্জি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি সুবীরেশদেরও জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের কথা বলা হয়েছে। 


এদিন আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'একটা টাকাও নিইনি, একটা টাকাও আমার থেকে উদ্ধার হয়নি। অযোগ্য প্রার্থীদের কথা বলা হচ্ছে, এখানে আমার ভূমিকা কী? আর কতদিন এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলে সিবিআই সময় পাবে? জেল থেকে বেরিয়ে তো আমি শিক্ষা দফতরে চলে যেতে পারব না? তদন্তে কোনও অগ্রগতিও নেই। এবার জলি এলএলবি সিনেমার মতো ধর্না দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না'। জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতে সওয়ালও করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। 


এর আগের রায় অনুযায়ী, ED-র নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ফের জেল হেফাজতেই থাকছেন মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল নগর দায়রা আদালত। পাশাপাশি, ED-র টাকা উদ্ধার-মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নগর দায়রা আদালত। ভার্চুয়াল হাজিরায় পার্থ জানান, তাঁর শরীর ভাল নেই। একই দাবি করেন অর্পিতাও। যে সেলে তাঁকে রাখা হয়েছে, সেখানে তিনি ভাল নেই বলে দাবি করেন অর্পিতা। বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান নগর দায়রা আদালতের বিচারক।                                                      


আরও পড়ুন, 'মেধাশ্রী স্কলারশিপ' ঘোষণা মমতার! কারা পাবেন এই সরকারি প্রকল্পটির সুবিধা?


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, SSC-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা, SSC’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও দুই মিডলম্যান প্রদীপ সিংহ এবং প্রসন্ন রায়কে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করে, সিবিআই দাবি করেছিল, পার্থ সহ, প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই তদন্তে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। রিমান্ড কপিতে সিবিআই দাবি করেছে, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এজেন্টরা। টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হত।                                                            


পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তখন বলেছিলেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। তাঁকে হেফাজতে নেওয়াটাও ষড়যন্ত্র। মন্ত্রীর পক্ষে পুরোটা জানা সম্ভব নয়। যেহেতু তিনি ইনচার্জ, তাই পুরো দায় তাঁর ওপর চাপানো হয়েছে।