মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: যাঁর ছায়ায় থেকে বড় হয়ে ওঠা। যাঁর পরিশ্রমের রোজগারে লালন-পালন তাঁকেই খুন? এমনই নারকীয় অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman News) উখড়া এলাকায়। চাকরি পাওয়ার জন্য কর্মরত খনি শ্রমিক বাবাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। খুনের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে (Son Killed Father)। 


গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো এবং ঝুলন্ত অবস্থায় মিলেছিল এক খনি কর্মীর দেহ। দিনটা ছিল ২৩ জানুয়ারি। বাকোলা সুভাষ কলোনি সংলগ্ন জঙ্গল থেকে গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই খনি কর্মীর দেহ মিলেছিল। মৃতের নাম এতোয়ারী মিঞা। তিনি চনচনি কোলিয়ারিতে কাজ করতেন। প্রথমে ওই ব্যক্তির পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছিল। পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছিল দিন দুয়েক আগে বাড়ি থেকে বেরলেও আর বাড়ি ফিরে আসেননি তিনি। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। খুঁজে না পাওয়ায় ওই দিন রাতেই উখড়া ফাঁড়িতে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তার দুই দিন পরে ২৩ জানুয়ারি ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় (Hanging Body) দেহ উদ্ধার হলেও, মৃতদেহের মুখে গভীর ক্ষত চিহ্ন ছিল বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। সেই ক্ষতচিহ্ন থাকার কারণেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তের কারণে পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, বাবার মৃত্যু নিয়ে ছেলে আব্দুল হাকিমের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা লক্ষ্য করেন তদন্তকারীরা। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে আব্দুল হাকিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ । আজ বুধবার ধৃত আব্দুল হাকিমকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায় পুলিশ। এই ঘটনা কেন ঘটানো হল, শুধু চাকরির জন্য়ই কি এই খুন? নাকি এই নৃশংস ঘটনার পিছনে আরও কোনও কারণ রয়েছে, খুনের সময় আর কেউ সাহায্য করেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ।


দেহ পাওয়ার দিন, আব্দুল হাকিম বলেছিলেন, 'একজন বয়স্ক মহিলা দেহ খুঁজে পেয়েছিল। কোনও শত্রুতা ছিল না। কেন এমন হল জানি না। দেহ ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে।' খুনের অভিযোগে সেই ছেলেকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


আরও পড়ুন: একই জায়গায় ২০০ বার অস্ত্রোপচার! তারপরে 'রোগমুক্তি' SSKM-এ