মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, অথচ ১৪ ঘণ্টা ধরে পাঁচটি হাসপাতাল (Hospital) ঘুরেও ভর্তি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর (Death without treatment) অভিযোগ। মৃতদেহ (Dead bosy) নিয়ে পথ অবরোধ (Road blockade) আত্মীয়-পরিজনেদের। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন দুর্গাপুর (Durgapur) শহর লাগোয়া জব্বরপল্লির বাসিন্দারা।


দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যু


ঘটনার সূত্রপাত গতকাল দুপুর একটা নাগাদ। দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মোটরবাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন ৬০ বছরের নির্মল মণ্ডল। পরিবারের অভিযোগ, এরপর দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমানের অনাময়, কাঁকসার গৌরীদেবী হাসপাতাল ও দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতাল ঘুরেও সঙ্কটজনক ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা যায়নি। রাত তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। প্রতিবাদে মৃতদেহ নিয়ে দুর্গাপুর-লাউদোহা রোড অবরোধ করেন মৃতের আত্মীয়-পরিজনেরা। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর ও লাউদোহা থানার পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এখনও মেলেনি। 


দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার


ঠিক এক মাস আগে বাঁকুড়া সদর থানার পুয়াবাগান এলাকায় বেপরোয়া লরির ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। এরপরেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। একের পর এক লরিতে ভাঙচুর করা হয়, বাঁশের ব্যারিকেড ও কলাগাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখানো হয়। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল ১০টা নাগাদ ধলডাঙা থেকে পুয়াবাগানের দিকে যাওয়ার সময় ৬০ এ জাতীয় সড়কে লরির ধাক্কায় প্রাণ হারান এক সাইকেল আরোহী। নিহতের নাম মানিক মিশ্র। বয়স ৫৫ বছর। পেশায় কৃষক ওই ব্যক্তি বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ই তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। পরপর ৬টি লরিতে চলে ভাঙচুর। শুরু হয় অবরোধ-বিক্ষোভ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়, কোনও লরিকে ধাওয়া করা হয়নি।