মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: মেয়াদ শেষ হল দুর্গাপুর পৌরসভার (Durgapur Municipal Corporation)। ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন করল রাজ্য (West Bengal)। কিন্তু তা নিয়েই গোল বেঁধেছে। ভোট না করিয়ে কেন প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন। সেই নিয়ে শাসকদলের (TMC) বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা।


ভোট না করিয়েই প্রশাসকমণ্ডলী কেন, প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা


শেষ হয়ে গেল দুর্গাপুর পুরসভার মেয়াদ। আগামী পৌরসভা নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুর পৌরসভার মাথায় বসল প্রশাসকমণ্ডলী।

দুর্গাপুর পৌরসভায় প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন হলেন এতদিন মেয়রের দায়িত্ব পালন করা অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন অমিতাভ বন্দোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: নিচুতলায় কিছু ঘটলে দোষ এসে পড়ে ওপরতলায়! শিক্ষক দুর্নীতি থেকে দূরত্ব বাড়ালেন মমতা


এর আগে, ২০১৭ সালে ভোট হয়েছিল দুর্গাপুর পৌরসভায়।  সে বার ৪৩টি আসনই দখল করে তৃণমূল।  এই পরিস্থিতিতে সোমবার দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়াদ শেষ হলেও, ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। ভোটের পরিবর্তে আপাতত মাথায় বসানো হল প্রশাসক। কিন্তু তা নিয়েই প্রশ্নের মুখো পড়তে হচ্ছে শাসকদলকে। পরাজয়ের ভয়েই তারা ভোট করানোর রাস্তায় হাঁটছে না বলে অভিযোগ উঠছে।


এই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ভোট না করিয়ে বোর্ড কেন? প্রশ্ন তুলছে সব শিবিরই। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘ভোট লুট করে ক্ষমতায় এসেছিল, এখন ভোট করাতে ভয়, প্রার্থী পাওয়া মুশকিল, তাই ভোট না করে প্রশাসক।’’


পশ্চিম বর্ধমানে সিপিএম-এর জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘মানুষের রায় নিতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল, ভোট করালে হার নিশ্চিত জানে।’’


হারের ভয়েই ভোট নয়! অভিযোগ সিপিএম নেতৃত্বের


তবে দুর্গাপুর পৌরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিরোধীরা এসব বলবেই, গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। এতদিনে অনেক উন্নয়ন হয়েছে।’’ সব মিলিয়ে, পৌরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তে সমালোচনা-পাল্টা সাফাই ঘিরে দুর্গাপুরে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। 


অন্য দিকে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে CBI তদন্তের দাবি জানিয়ে পোস্টার পড়ল তাঁরই খাসতালুক হলদিয়ায়। এ নিয়ে নাম না করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য,  "যন্ত্রণা, যন্ত্রণা ভাইপো করিয়েছে। যন্ত্রণা পেটে ব্যথা হলে বাবা গো-মা গো করে। ওই জন্য অমিত শাহজি ও আমাকে টার্গেট করেছে, কোনও অসুবিধে নেই।’’


যদিও তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির কথায় সৌমেন মহাপাত্রর কথায়, ‘‘ তৃণমূলের এত দৈনদশা হয়নি যে, ওর নামে পোস্টার দিতে হবে।’’