শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারের (Coochbehar) তুফানগঞ্জে (tufanganj) ‘আত্মঘাতী’ (suicide) বিজেপি কর্মীর (bjp worker) স্ত্রী (wife)। অভিযোগ বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর শ্লীলতাহানি (molestation) করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা (TMC)। সেই অপমানেই তৃণমূল বুথ সভাপতির বাড়ির সামনে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন ওই মহিলা, দাবি মৃতার পরিবারের। এখনও পর্যন্ত খোঁজ নেই শাসক দলের ওই বুথ সভাপতির। ঘটনার সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
কী ঘটেছিল?
মৃতার স্বামীর অভিযোগ, গত শুক্রবার বিকেলে তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতির নেতৃত্বে কয়েক জন তৃণমূলকর্মী তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করেন। সেই সময়ই তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়। পরিবারের দাবি, এর পর অপমানে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়ির সামনে গিয়ে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। ঘটনার পর দু’দিন ধরে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার মারা যান তিনি। ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই তৃণমূল বুথ সভাপতির। যদিও ঘাসফুলের জেলা সভাপতির দাবি, এর সঙ্গে তাঁদের দলের কোনও যোগ নেই। জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। হামলা-শ্লীলতাহানির অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নিখোঁজ তৃণমূলের বুথ সভাপতির দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিন সাতেক আগেই হুগলিতে এক বিজেপি কর্মীর ফেসবুক লাইভে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল ওই জেলা তথা গোটা রাজ্য়ে। এদিনের ঘটনা ফের সেই স্মৃতি উসকে দিয়েছে পদ্মশিবিরের অনেকের মনে।
কী হয়েছিল হুগলিতে?
হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কেওটা মিলিটারি কলোনির বাসিন্দা অভিষেক চৌধুরী নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে খবর ছড়ায় গত মাসের একেবার শেষ দিকে। শোনা যায়, তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। মৃত্যুর ঠিক আগে ফেসবুক লাইভে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কুণাল সরকার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তবে এক রাজনৈতিক কর্মীর এমন মৃত্যুতে চাপানউতোর তৈরি হয় প্রবল ভাবেই। সেই ঘটনার জের মেলাতে না মেলাতেই বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ঘিরে হইচই।
আরও পড়ুন:বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি