অলোক সাঁতরা, মেদিনীপুর: রাজ্য়ে বাড়ছে করোনা, ওমিক্রন সংক্রমণ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার থেকে জারি হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। মেদিনীপুরে করোনাবিধি জারি হওয়ার পর তা কতটা কার্যকর হচ্ছে তা দেখতে অভিযানে নামল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। অনেকের মধ্যেই দেখা গেল অসচেতনতার ছবি। করোনাবিধি লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করে দেয় পুলিশ।
গতকাল রাতে পুলিশি অভিযান শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, কারও মাস্ক পকেটে তো কারও মাস্ক আবার থুতনিতে ঝুলছে। রাত ১০টা বেজে যাওয়ার পরেও রাস্তায় অবাধে চলছে ঘোরাফেরা। অভিযানে নেমে পুলিশ সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ ৯ জনকে গ্রেফতার করে।
মেদিনীপুর শহরের দোকানগুলি বন্ধ করার পর নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। মেদিনীপুর শহরে চলছিল বড়দিনের মেলা। সোমবারই শেষ হয়েছে সেই মেলা। মেলা ফেরত মানুষজনকে সতর্ক করে দেয় পুলিশ। রাত ১১টার পরেও দোকান খোলা থাকায় দোকানদারদের সতর্ক করে দেয় পুলিশ। মেদিনীপুর শহরের বটতলা, গোল কুয়া, কেরানিতলা এলাকায় চলে অভিযান।
গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়েই পুলিশ মাইকে প্রচার করে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দিচ্ছে। মাস্ক ব্যবহারের উপরে জোর দিয়েছে পুলিশ। ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর, গড়বেতা, কেশপুর, শালবনি, খড়গপুর, দাঁতন, বেলদা, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা সহ জেলার থানাগুলিতে পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলার বার্তা জনগণকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও যাঁরা নিয়ম অমান্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, খড়গপুর স্টেশনে মাস্ক ছাড়াই ডিউটিতে রেল পুলিশ। পাশাপাশি, লোকাল ট্রেনেও দেখা গেল বিধিভঙ্গের ছবি। কামরায় ভিড়, উধাও দূরত্ববিধি। এরই মধ্যে মাস্ক ছাড়া ট্রেনে উঠেছেন কোনও কোনও যাত্রী। দেখা মেলেনি আরপিএফ, জিআরপি-র।
অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে আজ সকালে বাজার এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। মাস্ক না পরার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ২৬ জনকে। আবার কয়েক জায়গায় মাস্ক বিলিও করা হয়। পাশাপাশি, মাইকেও প্রচার চালায় পুলিশ।