সোমনাথ দাস, দাসপুর : কোথাও কংগ্রেস, কোথাও সিপিএম তো কোথাও বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote 20230 ঘিরে রাজ্যের শাসক দলের হামলার মুখে, চাপের মুখে। অন্তত তেমনই অভিযোগ উঠছে। এবার সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়ন তুলতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। যদিও রুখে দাঁড়ায় সিপিএম। নাড়াজোলে হুমকি দিয়ে সিপিএম প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে নাকি 'সক্রিয় ভূমিকা' নিয়েছে পুলিশ ! যদিও বিডিও অফিসের সামনেই সিপিএম প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়।

ঘটনাটা কী ?

আজ ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এই শেষ দিনে দুপুর ৩টের মধ্যেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হতো। তিনটে বাজার কিছু আগেই রাজনগর পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর বুথে সুষমা সাউ নামে যিনি সিপিএমে হয়ে মনোনয়ন দিয়েছিলেন, তিনি আজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য এসেছিলেন। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল জোর করে তাঁকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর জন্য বিডিও অফিসে নিয়ে আসে। সেই সময় সিপিএমের লোকজন আসেন। ওই প্রার্থীকে টেনে ধরেন। তাঁকে বিডিও অফিসে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে যেতে বাধা দেয়। পুলিশও তখন টানাহেঁচড়া করতে থাকে। তাঁকে বিডিও অফিসে ঢোকাতে চায়। কারণ, যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনি বলছেন, তাঁর শরীর খারাপ বলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন।

যদিও সিপিএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁকে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হচ্ছে। সেই সময় প্রার্থীকে ধরে টানতে থাকেন সিপিএমের লোকেরা, অন্যদিকে দাসপুর থানার ওসি টানাটানি করেন। রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেধে যায়। চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

মনোনয়ন প্রত্যাহারে খুনের হুমকি আগেই-

রাতের অন্ধকারে সিপিএম ও আইএসএফ প্রার্থীদের বাড়িতে সিভিক ভলান্টিয়ার পাঠিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ আগেই উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। জেলার চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ১ নম্বর ও কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এবার এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম ও আইএসএফ।

অভিযোগ, বিরোধী প্রার্থীদের বাড়িতে সিভিক ভলান্টিয়ার পাঠিয়ে খুন অথবা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল-জরিমানার হুমকি দেওয়া হয়। রাতে পুলিশ গেলে ক্ষোভ উগরে দেন সিপিএম ও আইএসএফ প্রার্থীরা। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিরোধীরা প্রার্থী দেওয়ায় এটা প্রমাণিত যে, এলাকায় সন্ত্রাস হচ্ছে না। হেরে যাওয়ার ভয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।