সৌমেন চক্রবর্তী, মেদিনীপুর : মেদিনীপুর শহরের গান্ধীঘাটে সেলফি জোনে সদলবলে ছবি তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এনিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের উন্নয়নের কাজের প্রশংসা করতেই সেলফি তুলেছেন সাংসদ। এনিয়ে গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, ছবি নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে শাসক দল।


যত কাণ্ড সেলফি নিয়ে। যেখানে সদলবলে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন সাংসদ প্রতিনিধি সমিতকুমার মণ্ডল, মেদিনীপুরের বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিশ্র, রাজ্য সহ-সভাপতি সমিতকুমার দাস-সহ দলের আরও কয়েকজন নেতা।


শুধু ছবি তোলাই নয়, সেলফি জোনের কাছেই দলের নেতাদের নিয়ে হালকা মেজাজে ঘোরাফেরা করতেও দেখা যাচ্ছে দিলীপ ঘোষকে। এ ছবি ১৭ মে-র। ওইদিন মেদিনীপুর শহরে, কাঁসাই নদীর তীরে গান্ধীঘাটে সেলফি জোনে ফুরফুরে মেজাজে দেখা যায় স্থানীয় বিজেপি সাংসদকে। যে ছবি নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্টও করেছেন গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা।


মেদিনীপুর পুরসভার উদ্যোগে তৈরি হওয়া, সেলফি জোনে বিরোধী দলের সাংসদের ছবি তোলা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। এনিয়ে মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান ও তৃণমূল নেতা সৌমেন খান বলেন, দিলীপবাবু যে প্রশংসা করেছেন, অনেক ছবি তুলেছেন । অনেককে বলেছেন যে খুব ভাল কাজ হচ্ছে। তার জন্য আমরা দিলীপবাবুকে ধন্যবাদ জানাই। মুখ্যমন্ত্রীর কাজের প্রশংসা করলেন।


যদিও গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, ছবি দেখিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল। সাংসদ দিলীপ ঘোষের প্রতিনিধি সমিতকুমার মণ্ডল বলেন, এটা সংকীর্ণ রাজনীতি। মেদিনীপুরে যে সমস্যাগুলো আছে, তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। নদীপাড়ে গিয়ে কে ছবি তুলল এবং তা নিয়ে যদি কেউ ভাবে বাহবা নেব, সেটা জনতার জন্য কোনও উন্নয়ন নয়। নদীর পাড়ে সবাই গিয়ে ছবি তুলতে পারেন।


সব মিলিয়ে দিলীপ ঘোষের সেলফি তোলা নিয়েও তরজার শেষ নেই।