সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: পিকনিকে মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় পুলিশের উপর হামলা, পুলিশকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ৩ জনকে। 


রবিবার ১০-১৫ জন মত্ত যুবকের বিরুদ্ধে পিকনিক স্পটে প্রকাশ্যে মদ্যপান করে মহিলাদের কটূক্তি করা ও হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর বাঁশ-লাঠি নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এএসআই (ASI), কনস্টেবল-সহ ৭ জন পুলিশ কর্মী আহত হন। পায়ে গুরুতর আঘাত পান এএসআই। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


কী ঘটেছিল?
পিকনিকে এসে মদ্যপান চলছিল। তার সঙ্গেই সেখানে অন্য পিকনিক পার্টির সঙ্গে আসা মহিলাদের কটূক্তি করার অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তদের বাধা দেয় পুলিশ। তারপরেই পুলিশের উপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও কয়েকজন জখম হন। ওই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল অভিযুক্তরা। পরে তাদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই ফাঁড়ির বড়মা কালী মন্দির লাগোয়া এলাকা। শিলাবতী নদীর পাড়েই ওই এলাকায় শীতকালে নানা জায়গা থেকে পিকনিক করতে আসেন অনেকে। সেখানেই এই ঝামেলা হয়। প্রথমে পিকনিক করতে আসা অন্য দলের সদস্যের সঙ্গে ওই মদ্যপ যুবকের বচসা-মারামারি হয়। তারপরে পুলিশ এলে,  পুলিশের উপরেই চড়াও হয় ওই অভিযুক্তরা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘাটালের মনসুকা এলাকা থেকে ওই যুবকেরা এসেছিল। তারাই মদ্যপ অবস্থায় ঝামেলায় জড়িয়েছে। বারবার মহিলাদের বিরক্ত করছিল বলে অভিযোগ, কটূক্তিও করছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় বাধা দেয় বাকিরা। তখন তাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। কয়েকজনের সঙ্গে মারামারিও হয়। ওই ঝামেলার খবর পেয়েই এসেছিল পুলিশ। মার খেয়ে আরও পুলিশ এসে হাজির হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

মর্মান্তিক ঘটনা:
এই পশ্চিম মেদিনীপুরেই পিকনিক করতে গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বড়দিনে কেলেঘাই নদীর পাড়ে পিকনিক করতে গিয়ে তলিয়ে যান এক যুবক। রবিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ৪ নম্বর দশগ্রাম অঞ্চলের দেহাটি কেলেঘাই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। মৃত যুবকের নাম শুভেন্দু দে। বয়স ২২ বছর।  


আরও পড়ুন: শূন্য পেয়েও চাকরি! শিক্ষকের পর শিক্ষাকর্মী নিয়োগেও দুর্নীতি কবুল কমিশনের