সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজারের ইস্তফা। রাজনৈতিক চাপে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালে দুর্নীতি হচ্ছে বলে পদত্যাগ পত্রে দাবি ওই ব্যক্তির। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
রাজনৈতিক চাপে কাজ না করতে দেওয়ার অভিযোগ
রাজনৈতিক চাপে কাজ না করতে দেওয়ার অভিযোগ। হাসপাতালে দুর্নীতি (Allegation of Corruption) হচ্ছে বলে বিস্ফোরক দাবি। আর এই জোড়া অভিযোগকে সামনে এনে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজার নুরুল ইসলাম (Kharagpur Hospital)।
গত মাসের ২০ তারিখ সিএমওএইচের অফিসে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন নুরুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, গত বছরের ডিসেম্বরে এই হাসপাতালে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক চাপে তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মীদের ডিউটি রোস্টার তাঁকে হস্তান্তরিত করা হয়নি।
অভিযোগ, গ্রুপ ডি কর্মীদের ডিউটি রোস্টার করেন ওই পদেরই মন্টু শিট নামে এক ব্যক্তি। আর এখানেই কর্মী কম দেখিয়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের এনে টাকা তোলা হয় বলে ইস্তফাপত্রে দাবি করেছেন নুরুল ইসলাম।
খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের পদত্যাগী ফেসিলিটি ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বলেন, "ফেডারেশনের নাম করে মা মাটি মানুষের সরকারকে বদনাম করা হচ্ছে। আমাকে যখন কাজ করতেই দেওয়া হচ্ছে না, তখন বসে বসে বেতন নেব কেন? দুর্নীতির সঙ্গে আপস করিনি।"
যদিও এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি অভিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মী (Paschim Medinipur News)। অভিযোগ অস্বীকার করেছে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মী মন্টু শিট বলেন, "আমি গ্রুপ ডি স্টাফ। আমি যা বলার সেটা সুপারকেই বলেছি।"
রোগী কল্যাণ সমিতি, খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হেমা চৌবে বলেন, "রাজনৈতিক চাপের কোনও বিষয় নেই। আমি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান আর আমিই বিষয়টি জানি না।"
তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
এই ঘটনায় তুঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিজেপি-র সহ সভাপতি সমিতকুমার মণ্ডল বলেন, "এরকম দুর্নীতি সব জায়গায় হয়। আমরা তো কবে থেকেই বলে আসছি। এই দুর্নীতি কালীঘাট পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে।"
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, "সব কিছু নিয়েই রাজনীতি করেছে বিজেপি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।" পশ্চিম মেদিনীপুরের সিএমওএইচ ভুবনচনদ্র হাঁসদা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।