সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুরের (medinipur) বিধায়ক জুন মালিয়ার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে মেদিনীপুরের রাজনীতি নিয়ে একাধিক পোস্ট করার অভিযোগ উঠল। এই ফেসবুক আইডি'টি তাঁর নয় জানিয়ে নিজের ভেরিফাইড আইডি থেকে পোস্ট করেছেন বিধায়ক জুন মালিয়া।


মেদিনীপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক জুন মালিয়ার ছবি ও নাম ব্যবহার করে 'জুন মালিয়ার মেদিনীপুর' নামে ফেসবুকে একটি ফেক আইডি খোলার অভিযোগ উঠেছিল। যেখানে লেখা রয়েছে ২০২৪ সালে 'মেদিনীপুর লোকসভার এমপি হবে আমাদের জুন দিদি', ২০২৪ সালের যোগ্য প্রার্থী হিসেবেও তাঁকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখান থেকে কখনও লেখা হয়েছে 'মেদিনীপুর বিধানসভাতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে জুনদির কথাতে, কখনও এই আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে, 'তোমরা যতই মিটিং মিছিল এবং ফেসবুকে পোস্ট করো না কেন, আমাদের কথা শেষ কথা হবে।' এমন ঘটনায় জেলা তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। তারপরেই নিজের ভেরিফাইড আইডি থেকে তিনি জানিয়েছেন, এই আইডি ভুয়ো। এই নিয়ে তিনি সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন বিধায়ক। 


বিধায়কের দাবি:
মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক জুন মালিয়া বলেন, 'আইডিটা আমার নয়, ফেসবুকে আমার ভেরিফাইড আইডি এবং পেজ দুটোই আছে, টুইটারেও তাই। এই আইডিগুলো একদমই ফেক। কারা করতে পারে এখন তা আমি জানি না। হয়তো যাঁরা আমাকে ভালবাসেন তাঁরা করতে পারে, আবার যাঁরা আমাকে খুব একটা ভালবাসেন না, তাঁরাও করতে পারেন। বিরোধীরাও করতে পারে। সাইবার ক্রাইমে রিপোর্ট করব।'


মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সন্দীপ সিংহ বলেন, 'সারা ভারতবর্ষের মানুষ জানে যে বিজেপি পয়সা দিয়ে নিজেরা ফেক আইটি সেল বানিয়ে সারা ভারতবর্ষের জুড়ে বিভিন্ন ইস্যুতে ফেক প্রোপাগান্ডা এবং সব সময় কুৎসা মিথ্যাচার করতে থাকে। এতদিন তারা নিজেদের ফেক অ্যাকাউন্ট খুলত, এখন তৃণমূল নেতৃত্বের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে আমাদের এলাকায় বিভ্রান্তি তৈরির চক্রান্ত করছে।'


বিজেপির কটাক্ষ:
যদিও গোটা বিষয়ের পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলেই দাবি বিজেপির (BJP)। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শমিত কুমার মন্ডল বলেন, 'জুন মালিয়া যে অভিযোগ করেছেন, সেটা তাদের নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। আমরা জানি যে ওখানে দুটো গোষ্ঠী আছে। এই গোষ্ঠী মারামারি করছে, নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করছে, সবাই জেনে গিয়েছে। এটা তারই ফল।'


আরও পড়ুন: ফিরছে না হুঁশ, ফের প্রাণ কাড়ল খোলা বিদ্যুতের তার