বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর : রানাঘাট, পুরুলিয়ার পর এবার খড়গপুর (Kharagpur) । ফের সোনার দোকানে দুষ্কৃতী হামলা। শ্যুটআউট (Shootout) দুষ্কৃতীদের। খড়গপুর শহরের গোলবাজারে সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে হানা দেয় ৪ দুষ্কৃতী। শ্যুটআউটে আহত সোনার দোকানের মালিক সহ ২ জন। আহত ২ জনকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


খড়গপুর শহরের সবথেকে বড় বাজার গোলবাজার এলাকা। সেখানেই একটি সোনার দোকানে আজ ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয় চার দুষ্কৃতী। সোনার দোকান খোলার পরেই তারা ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর সোনার জিনিসপত্র দেখতে চায়। সোনার জিনিসপত্র বাছার পরে টাকা চাওয়া হয় তাদের কাছে। সেই সময় ব্যাগ থেকে টাকা বের করার ছলে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সোনার দোকানের মালিককে গুলি চালিয়ে দেয় দুষ্কৃতী। অন্য দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন দোকানের এক কর্মীর হাতে ছুরি চালায়। ঘটনায় দুই জনই আহত হন। এরপরই দুষ্কৃতীরা দোকান থেকে বেরিয়ে চলে আসে।


সোনার দোকানের মালিক জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা কী জিনিস নিয়ে গেছে এখনই তা বলতে পারছেন না। আহতদের খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। সিসি টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  


রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনা-


গত মাসে শেষের দিকে প্রায় একই সময়ে পুরুলিয়া এবং রানাঘাটে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় তীব আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্যে। একদিনে রাজ্যের দুই জেলায় সেনকো গোল্ডের দুই শোরুমে ডাকাতির ঘটায় প্রশ্ন ওঠে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। ভরদুপুরে পুরুলিয়া শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নামোপাড়ায় সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রায় ৮ কোটি টাকার গয়না লুঠ হয় বলে শোরুম মালিকের দাবি। দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ সেখানে নামোপাড়ায় সোনার দোকানে ৭ ডাকাত চড়াও হয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে সোনার গয়না, হিরে নিয়ে চম্পট দেয় তারা। অন্তত ৮ কোটি টাকার গয়না লুঠ হওয়ার অভিযোগ ওঠে ডাকাতদের বিরুদ্ধে। এদিকে রানাঘাটেও সোনার দোকানে ভরদুপুরে গুলি চালিয়ে লুঠ করা হয়। সেখানে সেনকো গোল্ডের শোরুম থেকে ৯০ শতাংশ গয়নাই লুঠ করা হয়। তবে ১০ মিনিটের মধ্যে খবর যায় পুলিশে। পালানোর সময় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই বাধে দুষ্কৃতীদের।


একইভাবে গত ২৪ মে সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে চলে গুলি। মূলত ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় সোনার দোকানের মালিকের ছেলের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেদিন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্য়ু হয় তাঁর। ঘটনায় জখম হন আরও ২। 


ব্যারাকপুরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে মালদায়, ডাকাতদের বোমায় নিহত হন সিভিক ভলান্টিয়ার। চাঁচলের মালতিপুরে ভরসন্ধ্যায় ডাকাতির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দোকানের মালিক। দোকানে ডাকাতির পরে হয় বোমাবাজি। তাতেই সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয় বলে খবর। সোনার দোকানের মালিকের পায়ে গুলি চালিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। সন্ধে ৬টা নাগাদ বাইকে করে ভরা বাজারে সোনার দোকানে ৬ দুষ্কৃতী চড়াও হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ কিমি দূরে কাশেমপুরে ডাকাতদের বাধা দেওয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার খুন হন।