আশাবুল হোসেন, কলকাতা : মঙ্গলবার ইডি-র (ED)তলবে যাচ্ছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerkjee )  এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানালেন তৃণমূলের ( TMC )সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দিল্লিতে ২ এবং ৩ অক্টোবর দলীয় কর্মসূচিতে হাজির থাকবেন বলে ঘোষণা। এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে বকেয়া আদায়ের জন্য লড়াই বজায় থাকবে'


অভিষেক লিখলেন, '' পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং এর ন্যায্য পাওনার  দাবিতে  লড়াই অব্যাহত থাকবে। পৃথিবীরর কোনও শক্তিই আমায় বাংলার মানুষ এবং তাদের মৌলিক অধিকারের জন্য লড়াইয়ের প্রতি আমার নিষ্ঠায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। আমি দিল্লিতে থাকব ২রা ও ৩রা অক্টোবর বিক্ষোভে যোগ দিতে।


 থামাও আমাকে, যদি পারো ! '' 


 






মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ফের তলব করে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এটা তাঁকে ইডি-র তৃতীয় নোটিস। তবে এবার শুধু অভিষেক নয়। ইডি সূত্রে দাবি, এবার ডেকে পাঠানো হয় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বাবা অমিত বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং লতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কেও ! অভিষেকের পর, আগামী সপ্তাহেই তাঁদের সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়।ইডি সূত্রে দাবি, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মা-বাবাকে লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর হিসেবে ডাকা হয়েছে। এই সংস্থা নিয়ে তদন্তে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেছেন তদন্তকারীরা। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) এবং ২০১২-র এপ্রিল থেকে ২০১৪-র জানুয়ারি পর্যন্ত এই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি যে বর্তমানে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের CEO পদে আছেন, ইডি ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিক বৈঠকে তা স্বীকারও করে নেন অভিষেক। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতেও বারবার উঠে এসেছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের প্রসঙ্গ। গত সোমবার, ওই সংস্থার আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। ED-র কাছে তিনি জানতে চান, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের আয়ের উৎস কী? একটি কারখানা বানানো হয়েছিল, তার বিস্তারিত তথ্য কোথায়? তদন্তে গতি কোথায়? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের লাইসেন্স ছিল কিনা তাও এদিন খোঁজ করেন বিচারপতি। এই প্রেক্ষাপটেই ৩ অক্টোবর ফের অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে তলব করে ED. 


আরও পড়ুন :


হাওড়া থেকে আদিবাসীদের লম্বা মিছিল, অবরুদ্ধ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট, নাকাল যাত্রীরা