সৌমেন চক্রবর্তী, কেশপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) কেশপুরে (Keshpur) নিখোঁজ তৃণমূলের বুথ সভাপতি। তাঁকে অপহরণ (Kidnap) করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবার। সোমবার বিকেল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন আনন্দ রায়। তাঁর মোবাইল ফোনও সুইচড অফ বলে জানিয়েছে পরিবার। আনন্দপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।
মহিষাদলে খাপ পঞ্চায়েতের ছায়া
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের চকদ্বারিবেড়্যা গ্রামে খাপ পঞ্চায়েতের আদলে ফরমান ঘিরে নতুন বিতর্ক। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই জুলুমবাজি চলছে তাঁদের উপর। গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখেও পড়েন তৃণমূল বিধায়ক। তবে এই ঘটনায় বিজেপি-র ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন তিনি। পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবিরও।
বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক
গ্রামবাসীদের দাবি অনুযায়ী, গ্রামে এমন জুলুমবাজি নতুন কোনও ঘটনা নয়। ধারাবাহিকভাবে তা চলে আসছে। কোনও বিবাদ বা সমস্যা দেখা দিলে, পুলিশ নয়, জানাতে হবে গ্রাম পরিচালন কমিটিকে। এই ফরমান জারি করে সোমবার লিফলেট পড়েছিল গ্রামে। গ্রাম কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরদিনই মঙ্গলবার চকদ্বারিবেড়্যায় যান মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। তখনই গ্রামবাসীদের একাংশের একরাশ ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এরপরই গ্রামবাসীদের ক্ষোভ সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি আজ বিধায়ক হিসেবে বলে যাচ্ছি, এ জিনিস আমি বিন্দুমাত্র অ্যালাও করব না। আমাদের কাছে খুব খারাপ লেগেছে যে, আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি! কোন দেশে বাস করছি! এটা কি আলাদা কোনও দেশ! যেখানে স্বতন্ত্র নিয়ম-কানুন চলবে! দুঃখজনক ঘটনা। এমন জিনিস মেনে নেওয়া যায় না। লিফলেট দেওয়ার পিছনে বিজেপি আছে।’
ফতোয়া-বিতর্কে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলেও, অপর এক অভিযুক্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি প্রণব দাসকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাইকেলে যাতায়াত তাহেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানের, কটাক্ষ তৃণমূলের