সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর:  রাজ্যে সক্রিয়তা বেড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির। কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিরোধিতা করাতেই বেছে বেছে তাদের নিশানা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন শাসকদলের (TMC) নেতা-মন্ত্রীরা। সেই আবহেই, স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day 2022) পতাকা হাতে নিয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য দলের কর্মী-সমর্থকদের প্রস্তুত হতে বললেন তৃণমূল নেতা।


রাজ্যে ইডি-সিবিআই তৎপরতার মধ্যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক তৃণমূল নেতার


পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur News)  তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি (Ajit Maiti) সোমবার এমনই এমনই রব তোলেন। সোমবার মধ্যরাতে মেদিনীপুর শহরে গান্ধীমূর্তির সামনে জাতীয় পতাকা তোলেন অজিত। সেখানে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI) এবং ইডি-র (ED)মতো সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন তিনি।


স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অজিতকে বলতে শোনা যায়, “ইডি সিবিআইকে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা তছনছ করে দিতে চাইছে।নতুন স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য তৈরি হোন। এটা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম।”


আরও পড়ুন: ইডি-সিবিআই দিয়ে হেনস্থা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক তৃণমূল নেতার, পাল্টা দিলীপ


এই মন্তব্য নিয়ে অজিতকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবস পালন করে পাকিস্তান।অজিত মাইতিরা নেতা হলে দেশে পরাধীনতার দেরি নেই।“ সেই নিয়ে জেলায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে।


শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি থেকে গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি রাজ্যে সক্রিয় হয়েছে সিবিআই এবং ইডি-র মতো সংস্থা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডি। আবার গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অুনুব্রত মণ্ডল। হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাঁদের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকার গয়না, নগদ, বিদেশি মুদ্রা এবং বিপুল সম্পত্তির নথি মিলেছে। অনুব্রতর ক্ষেত্রে নামে-বেনামে সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেলেও, এ নিয়ে বিশদ কিছু জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত।


রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্য়বহারের অভিযোগ তৃণমূলের


পর পর এই দুই ঘটনায় যদিও ভিন্ন অবস্থান চোখে পড়েছে তৃণমূলের তরফে। গ্রেফতার হওয়া পার্থর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে তারা। মন্ত্রিত্ব, দলের মহাসচিব পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়েছে। তাঁকে নিয়ে দল লজ্জিত বলেও  মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতারা। তবে অুনুব্রতকে নিয়ে একেবারে উল্টো অবস্থান তাঁদের। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।