সৌমেন চক্রবর্তী, মেদিনীপুর : নতুন সাংগঠনিক জেলা সভাপতির নাম ঘোষণার পর সাত মাস পার। মেদিনীপুরে (Medinipur) এখনও গঠিত হয়নি তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি (TMC's Complete District Committee)। তা নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে অসন্তোয। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। পাল্টা সাফাই দিয়েছে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব।
সাংগঠনিক রদবদলের পর ৭ মাস পেরিয়ে গেছে । মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলায় এখনও তৈরি হয়নি তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। শুধুমাত্র সভাপতির নাম ঘোষণা হয়েছে। শাসকদলের অন্দরে তা নিয়ে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তৃণমূল কর্মীদের একাংশের কথায় তা স্পষ্ট। মেদিনীপুরের তৃণমূল কর্মী কায়েম খান বলেন, এখনও কমিটি তৈরি হল না। তাড়াতাড়ি তৈরি হলে ভাল হয়। আরও অনেকে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জুন মালিয়া বলেন, এবিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। যা বলার রাজ্য নেতৃত্ব বলবে।
বিধানসভা ভোটে জয়ের হ্যাটট্রিক। সাড়ে ৩ মাসের মাথায় রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল হয়। তখনই সংগঠনকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে এক একটি জেলাকে একাধিক সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করে শাসকদল। তার জন্য পুরনো জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরকে মেদিনীপুর ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করে তৃণমূল। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যেখানকার সাংসদ বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিকে শাসকদলের একাংশের তরফে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির দাবি উঠতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বিজেপি, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সমিতকুমার মণ্ডল বলেন, পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণার পর নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল চরম আকার নিতে পারে। সেই ভয়ে তৃণমূল ঘোষণা করতে পারছে না।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, রাজ্য কমিটি তালিকা চেয়েছে। আমরা কিছুদিনের মধ্যে পাঠাব। তারাই ঘোষণা করবে রাজ্য কমিটি।
মেদিনীপুরে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে গঠিত হয় সেই অপেক্ষায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।