সোমনাথ দাস, দাসপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর): দাসপুরে (Daspur) সকালবেলা প্রাতঃভ্রমণে (Morning Walk) বেরিয়ে সাংঘাতিক দৃশ্যের সাক্ষী রইল এলাকাবাসী। নদীর জল থেকে ভেসে উঠল মহিলার মৃতদেহ (Dead Body), তাও আবার গলা কাটা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গ্রামে।


দাসপুরের কলোরা গ্রামে কংসাবতী নদের জল থেকে উদ্ধার করা হল এক মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গেছে কলোরা গ্রামের বেশ কিছু মানুষ আজ সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। আর সেই সময়েই তাঁরা হঠাৎ একটি মৃতদেহ নদীর জলে ভাসতে দেখেন। এমন দৃশ্য দেখে তৎক্ষণাৎ তাঁরা দাসপুর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন দাসপুর থানার পুলিশ। এরপর পুলিশের তৎপরতায় মৃতদেহটিকে নদীর জল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। 


কিন্তু কী কারণে এমন ঘটনা? মহিলাকে কি গলা কেটে খুন করা হয়েছে? কে বা কারা এই কাজ করেছে? নদীর জলেই বা কখন মৃতদেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে? এই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখছে দাসপুর থানার পুলিশ। কে ওই মহিলা? তাঁর নাম পরিচয় কিছুই এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। 


আরও পড়ুন: Babul on Jay Prakash: ‘বাংলায় ঢোকার সাহসই নেই কয়েক জনের’, জয়প্রকাশকে স্বাগত জানিয়ে ‘কূপমণ্ডূক’দের নিশানা বাবুলের


অন্যদিকে সাংঘাতিক ঘটনা বিধাননগরেও। সল্টলেকের কলকাতা পুলিশের আবাসনের ১১ তলা থেকে পড়ে এক কলেজ পড়ুয়ার মৃত্যু হল। মৃতের নাম পার্থসারথি পাল। মৃত ওই পড়ুয়া সল্টলেকের এই ব্লকের বাসিন্দা। প্রতিবেশীদের দাবি, সকাল সোয়া ১০টা নাগাদ ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ পান তাঁরা। এরপর বছর তেইশের ওই কলেজ পড়ুয়াকে আবাসনের নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর ওই পড়ুয়াকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ১১ তলা থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতের জুতো, মাস্ক। মিলেছে মোবাইল ফোনও। সেখান থেকেই ওই কলেজ পড়ুয়া নিচে পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আত্মহত্যা না কি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।