বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: প্রবাদে বলে, জলের (water) অপর নাম জীবন (life)। আর সেই জীবন নিয়েই হাতাহাতি (clash)। তাও আবার পঞ্চায়েত প্রধানের (panchayat pradhan) সামনে। হলদিয়ার (haldia) কিসমত শিবরাম নগর এলাকার ঘটনা। এর মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক (political) চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে।
কী থেকে অশান্তি?
হলদিয়ার দেভোগ অঞ্চলের কিসমত শিবরামনগর এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, বহু দিন ধরেই তাঁদের এলাকায় টিউবওয়েল খারাপ। অথচ যেখানে আগে থেকে জলের বন্দোবস্ত রয়েছে, সেখানেই আবার আজ সকাল থেকে একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর কাজ শুরু হয়। ফলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ভুক্তভোগীরা। দুই পাড়ার যুদ্ধ প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
সমস্যা কোথায়?
ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, এলাকার টিউবওয়েল খারাপ হওয়ায় পানীয় জল আনতে অন্যের বাড়িতে যেতে হয়। সে জন্য বাড়ির কর্তার মুখঝামটা পর্যন্ত শুনতে হচ্ছে তাঁদের। বিষয়টি পঞ্চায়েতকে জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সুরাহা হয়নি। সমস্যা যে রয়েছে, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন খোদ দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হৃষিকেশ মাজি। তাঁর বক্তব্য, পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ অনেকাংশে সঠিক। গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্বত্র এখনও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা যায়নি। আর্থিক বরাদ্দ হলে নলকূপ বসানো হবে, বলছেন প্রধান। আপাতত তাই পড়শিদের বাড়ি থেকে জল আনতে বলা হয়েছে। তা হলে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর অর্থ এল কোথা থেকে? এই নিয়েই শুরু নতুন রাজনৈতিক তরজা।
পারদ চড়ছে রাজনৈতিক তরজার...
তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তৃণমূল সরকার সে অর্থে পঞ্চায়েতের কোনও উন্নয়ন করেনি। তার পরও যৎসামান্য যা উন্নয়নের কাজ করে তাও মানুষের রাজনৈতিক রং দেখে করে। ওই এলাকায় বিজেপি সমর্থক রয়েছেন। সেই জন্যই স্থানীয়রা পানীয় জল থেকে বঞ্চিত। অভিযোগ উড়িয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক দাসের বক্তব্য, সত্যিই যদি সরকার দল দেখে উন্নয়নের কাজ করত তা হলে সকলে সবুজ সাথীর সাইকেল পেতেন না, কন্যাশ্রীর সুবিধাও পেতেন না। তাঁর খেদ, 'বিজেপি শুধুই বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে।' সব মিলিয়ে রাজনৈতিক আকচাআকচির আবহ কিসমত শিবরাম নগর এলাকায়।
আরও পড়ুন:পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা, শিলিগুড়িতে গ্রেফতার ৩