আবির দত্ত, কলকাতা: করোনা টেস্ট (Covid Test) ও ব্লাড টেস্টের (Blood Test) জন্য মেডিকেল ক্যাম্প (Medical Camp) করার আর্জি জানিয়ে অগ্রিম পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল চিৎপুরে (Chitpur)। অভিযোগ, নিজেকে বিএসএফ আধিকারিক বলে ফোনে পরিচয় দেন অভিযুক্ত। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। 


বহু BSF জওয়ান করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। কল্যাণীতে (Kalyani) দ্রুত একটা মেডিক্যাল ক্যাম্প করতে চাই। অভিযোগ, এমনই আর্জি জানিয়ে ফোন আসে। আর তারপরেই BSF-আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্ণধারকে প্রতারণার অভিযোগ উঠল চিৎপুরে। 


অভিযোগ, বিশ্বাস অর্জন করতে BSF-এর মতো দেখতে উর্দি পরে ভিডিও কলও করা হয়। যদিও অভিযোগকারীর দেওয়া এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। পাঠানো হয় BSF লেখা একটি আইকার্ডও। 


চিৎপুরের সেবা ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্ণধারের অভিযোগ, মেডিক্যাল ক্যাম্প করতে কিছু টাকা অগ্রিম চান তিনি। সেইমতো BSF আধিকারিক পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি ক্রেডিট কার্ডের নম্বর পাঠিয়ে টাকা কেটে নিতে বলেন। ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্ণধারের দাবি, তিনবার ৫০ হাজার টাকার লেনদেন ব্যাহত হয়। 


এরপর, ভিডিওকলে তাঁকে নির্দেশ দিতে শুরু করেন BSF আধিকারিক বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, ৫০-এর বদলে একবার ১৫ হাজার টাকা দিয়ে চেষ্টা করুন। 


এরপরই দেখা যায়, BSF আধিকারিক পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে নয়, টাকা কাটা হয়েছে খোদ ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্ণধারের অ্যাকাউন্ট থেকেই। অভিযোগকারীর অনুমান, ভিডিও কলে নির্দেশ দেওয়ার সময়ই কোনওভাবে প্রতারণা করেন অভিযুক্ত!


সেবা ডায়গনস্টিকের কর্ণধার ও অভিযোগকারী কমলেশ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, 
৫০ হাজার টাকা করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তিনবার আসে। পেমেন্ট নিতে বলে। আমার ১৫ হাজার টাকা চলে যায়। বিএসএফ পরিচয় দিয়েছিল। নাম বলেছিল সতীশকুমার। পেটিএম-এ হয়। ভিডিও কলে ইনস্ট্রাকশন দেয়। এভাবে প্রতারণা করতে পারে ভাবতে পারছি না। এটা শেষ হওয়া দরকার।


এই ঘটনায় চিৎপুর থানা ও লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।