কলকাতা: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) নারী নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য (West Bengal)। এদিকে, সন্দেশখালির ঘটনায়, এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের (West Bengal Police) তরফে বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে এই দাবি করা হয়। এরপরই, জাতীয় মহিলা কমিশন সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দাবি করেছে, সন্দেশখালির মহিলারা যাতে সামনে এসে যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের কথা না জানাতে পারেন, তার জন্য স্থানীয় পুলিশ তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।
বুধবার, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করে, রাজ্য মহিলা কমিশন এবং DIG CID-র নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের তদন্তকারী দলের অনুসন্ধানের সময়, মহিলাদের ধর্ষণের কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এমনকি, জাতীয় মহিলা কমিশনও সন্দেশখালিতে ঘুরে আসার পর, তার প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা স্থানীয় মহিলাদের ধর্ষণের কোনও অভিযোগ পাননি।
এদিকে, রাজ্য পুলিশের এই পোস্টের পরই, সোশাল মিডিয়ায় পাল্টা পোস্ট করে জাতীয় মহিলা কমিশন। তারা দাবি করে, তাদের অনুসন্ধান কমিটি জানতে পেরেছে, সন্দেশখালির মহিলারা যাতে সামনে এসে যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের কথা না জানাতে পারেন, তার জন্য স্থানীয় পুলিশ তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন, লোকসভা ভোটে বাংলার জন্য সবেচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন
সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ শুনেছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনও। গ্রামে গিয়ে মহিলাদের মুখ থেকে ভয়ঙ্কর অত্যাচারের কথা শুনলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে কমিশন। পুলিশের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল রিপোর্ট।
অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের অভিযোগ শুনেছিলেন রাজ্যপালও। অসহায় গ্রামবাসীদের মাঝে দাঁড়িয়ে, শুনেছিলেন তাঁদের আর্তনাদ! তাঁকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মহিলারা! সেই প্রেক্ষিতে কড়া রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে তৃণমূলনেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরার নাম এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগের উল্লেখ করেছেন তিনি। রিপোর্ট কার্ডে রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, গ্রামবাসী এবং ক্ষতিগ্রস্তরা মনে করছেন, যে প্রশাসনের তরফে ভয়ডরহীনভাবে এই ব্যবস্থাগুলো নেওয়া বাধ্যতামূলক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে