কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে কি অবস্থান বদল করছে বিজেপি? দুর্গাপুরের সভায় নরেন্দ্র মোদির মুখে 'জয় শ্রীরামের' বদলে শোনা গেল - 'জয় মা কালী' ও 'জয় মা দুর্গা'। এমনকী সভার আমন্ত্রণপত্রেও দেখা গেল এই দুই দেবীর উল্লেখ। যদিও, তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ, দেখনদারির রাজনীতি করছে বিজেপি।

আরও পড়ুন, কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ 'খুনে' তৎকালীন OC- সহ ৪জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

জয় শ্রীরাম থেকে সরে এসে কি পশ্চিমবঙ্গে ‘বাঙালি হিন্দুত্বে’ জোর দিতে চলেছে বিজেপি?

শমীক ভট্টাচার্যকে সভাপতি-সম্বর্ধনার মঞ্চের পর এবার নরেন্দ্র মোদির সভা। বিজেপির কর্মসূচিতে ফের মা কালী-মা দুর্গার নামে জয়ধ্বনি!যার জেরে ফের প্রশ্ন উঠে গেল, জয় শ্রীরাম থেকে সরে এসে কি পশ্চিমবঙ্গে ‘বাঙালি হিন্দুত্বে’ জোর দিতে চলেছে বিজেপি? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বড়রা আমার প্রণাম নেবেন, ছোটরা ভালবাসা। জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের জন্য বড় স্বপ্ন দেখেছে। বিজেপি এক সমৃদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ বানাতে চায়। বিজেপি বিকশিত পশ্চিমবঙ্গের নির্মাণ করতে চায়। 

মোদির সভার আগে শমীক ভট্টাচার্যই দুর্গাপুরের ভিরিঙ্গি মন্দিরে গিয়ে নিলেন মা কালীর আশীর্বাদ   বিজেপির কর্মসূচি মানেই মুর্হমূর্হ 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি! মা কালী কিংবা মা দূর্গার নামে জয়ধ্বনি বিজেপির কর্মসূচিকে কতবার শোনা গেছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে!কিন্তু বঙ্গ বিজেপির সংস্কৃতির বদলটা প্রথম চোখে পড়ে গত চৌঠা জুলাই, দলের নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর অভিনন্দন সমারোহ অনুষ্ঠানের মঞ্চে। ওইদিন মঞ্চে LED স্ক্রিনে ফুটে উঠেছিল ফুল-মালায় সজ্জিত কালীঘাটের মা কালীর ছবি। শুক্রবার নরেন্দ্র মোদির সভার আগে সেই শমীক ভট্টাচার্যই দুর্গাপুরের ভিরিঙ্গি মন্দিরে গিয়ে নিলেন মা কালীর আশীর্বাদ। 

ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে বাঙালির মন পেতে মা কালী ও মা দুর্গার শরণে নিচ্ছে বিজেপি? প্রধানমন্ত্রীর সভার আমন্ত্রণপত্রে তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখা গেল, একই সারিতে লেখা, ভারত মাতার জয়, জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী। দুর্গাপুরের সভায় নরেন্দ্র মোদির হাতে মাটির দুর্গা তুলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্যকে। শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন ধাতুর দুর্গা মূর্তি। নরেন্দ্র মোদিকে পরানো হল রজনীগন্ধার মালা। তাহলে কি ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে বাঙালির মন পেতে মা কালী ও মা দুর্গার শরণে নিচ্ছে বিজেপি? ধর্ম এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির প্রধান অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।আর তাই রাজনীতির মঞ্চে কোন দেবী-দেবতার নামে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, সেটাও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।