দুর্গাপুর : 'তৃণমূলের রাজত্বে বহু কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে গেছে।' রাজ্যে বিনিয়োগ ইস্যুতেও তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আওয়াজ তুললেন 'তৃণমূল হটাও, বাংলা বাঁচাও।'

এদিন দুর্গাপুরের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী একাধিক ইস্যুর পাশাপাশি রাজ্যে বিনিয়োগের প্রসঙ্গও তোলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যেখানে ন্যায়বিচারের কোনও আশা নেই, সেখানে কী করে কেউ বিনিয়োগ করবে ? এখানকার রাজ্য সরকার যখন মানুষের প্রাণ ও তাদের দোকান সুরক্ষিত করতে পারে না, তখন বিনিয়োগকারীদেরও চিন্তা হয়। আমি জানি যে, পশ্চিমবঙ্গে যত সম্ভাবনা আছে, তা দেখে দুনিয়ার বিনিয়োগকারীরা এখানে টাকা বিনিয়োগ করতে আসতে চাইবে। কিন্তু, যখন কেউ এখানে সিন্ডিকেট-রাজ দেখেন, তাঁরা দেখেন যে এখানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়, কীভাবে তৃণমূলের লোকেরা ধমকান, ভাঙচুর করা-কাজ বন্ধ করার ধমকি দেন, তখন ওঁরাও ভয়ে পালিয়ে যান।"

সুর আরও চড়িয়ে তিনি বলেন, "তৃণমূলের এই যে গুন্ডা ট্যাক্স আছে, সেটা এরাজ্যে বিনিয়োগ আটকাচ্ছে। এখানে মাফিয়ারাজ চলে। যেটা বাংলায় বিনিয়োগ আটকায়। এখানকার সরকারই নিজেদের নেতাদের দুর্নীতি করার জন্য নীতি প্রণয়ন করে। কখন কী নীতি পাল্টে দেওয়া হবে তারও কোনও গ্যারান্টি নেই। এই কারণেই তৃণমূলের রাজত্বে বহু কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে গেছে। তাই তো এখানকার যুবকদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ মিলছে না। তাই তো বাংলার অবস্থা বেহাল। তাই আজ সকলেই বলছেন, তৃণমূল হটাও, বাংলা বাঁচাও।"

পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কুণাল ঘোষ বলেন, "যে জেলার যে এলাকায় দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, সেখানকার ১০০ দিনের কাজ করিয়েও টাকা দেননি। টাকা কে দিয়েছে ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আবাসের টাকা দেননি। ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি যেটা দৃশ্যমান সেটা দেননি, অদৃশ্য ৫ হাজার কোটি টাকার গল্প শুনিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। যেটা দীর্ঘদিন ধরে ওঁদের করার কথাই। কেউ দয়া চাইছে না। মিথ্যাচার কোন জায়গায় যায়। ওঁর প্রতিশ্রুতি ছিল, বছরে ২ কোটি চাকরি। ২০১৪ সালে এসেছেন, এখন ১১ বছর। ২২ কোটি চাকরির কথা। সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বলেছে, মাত্র ২২ লক্ষ চাকরি হয়েছে। বেকার যুবকদের মধ্যে ৩০ শতাংশ বেকার। সারা দেশে বেকারত্বের গড় বাড়ছে। PM Modi Rally in Durgapur

সবিস্তারে আসছে...